হালকা ঠান্ডা লাগা কেবল? নাকি হরেক রকম উপসর্গ?
ডেলটার মতো রূপ নয় এর। একে এর সহোদর বলা অনুচিত। স্বাদ–গন্ধের কোনো ক্ষতি করে না। অনেকে ভাবেন, এ আর এমন কী? ডেলটার চেয়ে কম সক্রিয় বলে একে তুচ্ছ করলেও এর সংক্রমণক্ষমতার পরিচয় পেলে একে মেপে কথা বলতে হবে। বলছে অনেকে, শারীরিক অসুস্থতার হার কম আর তাই মৃদু। যদিও এর চূড়ান্ত ফয়সালা হয়নি।
শ্বাসযন্ত্র আর ফুসফুসের ওপর এর প্রভাব তেমন না হওয়াতে একে এমন কী বলার হলো? আর হাসপাতালে যাঁরা আসছেন, তাঁরা কোন রূপের ভাইরাস নিয়ে এলেন? জীবনরহস্য মানে জিন সিকোয়েন্সিং না করে বোঝা কী যাবে—ডেলটা না অমিক্রন, না দুটিই?
হালকা ঠান্ডা লেগেছে, স্বাদ–গন্ধ সব ঠিক তাহলে? মাথা ধরা, গলাব্যথা, সর্দি, নাক দিয়ে জল পড়া আর ক্লান্তি। হয়ে গেল। কিন্তু পেটের সমস্যাও আছে যে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) প্রতিবেদন বলছে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে সঙ্গে অল্প বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছে।
আইসিএমআর আরও বলছে, অমিক্রনের ক্ষেত্রে প্রধান উপসর্গ গলাব্যথা। তবে শ্বাসযন্ত্র যে অব্যাহতি দিচ্ছে তা নয়। এ ছাড়া হচ্ছে কারও কারও মূত্রনালির সংক্রমণ। এমন হলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন দুবার আর উপসর্গ থাকলেও ফল নেগেটিভ এলে পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে ৷
এ রকম হরেক কিসিমের উপসর্গের কারণ আছে। অনেকের কেবল পেটের সমস্যা। যাঁরা টিকা নিয়েছেন, আর যাঁরা নেননি, তাঁদের উপসর্গের তফাত হয়। তাই বলছেন কেউ কেউ।
বলা হচ্ছে, যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উপসর্গ মৃদু, হাসপাতালে যাওয়া লাগছে না তেমন। কিন্তু যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের সমস্যা বেশি, পুরো সুরক্ষা টিকা না দিতে পারলেও গুরুতর পথে যেতে বাধা দেয়—এও কম না। তবে অনেকের যাঁদের আছে অন্য অসুখ, ক্রনিক অসুখ—তাঁদের ওপর অমিক্রনের আক্রমণের তীব্রতা বেশি।
যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, এদের ব্যাপারেও এক অবস্থা—অমিক্রনের আক্রমণে উপসর্গ দেখা দেয় দু–তিন দিনের মধ্যে আর ডেলটা হলে ৫-৬ দিন অন্তত। অমিক্রনের রোগী সুস্থ হন ৮-১০ দিনে। ডেলটা থেকে ফিরতে লাগে হপ্তা দুয়েক।
অমিক্রন সেরে গেছে, তবু থেকে যায় কিছু উপসর্গ। ক্লান্তি, মাথাধরা এসব লং কোভিডের লক্ষণ। তাই যত্ন নেবেন শরীরের।
অমিক্রনের এত রূপ এত ছলনা
RELATED ARTICLES