
রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া থেকে দেশীয় তৈরি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ জেএসএস (মূল) এর সক্রিয় কর্মী আলোময় চাকমা বলয়কে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘাগড়া ক্যাম্পের আওতাধীন চম্পাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, ঘাগড়া ক্যাম্পের আওতাধীন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চম্পাতলী এলাকায় জেএসএস (মূল) আলোময় চাকমা বলয়ের ঘর তল্লাশি চালায়। এসময় একটি কক্ষে বালতির ভেতর কাপড় মোড়ানো অবস্থায় দেশীয় তৈরি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় আলোময় চাকমা বলয় বাড়িতে না থাকায় পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে মোবাইল করে কৌশলে ডেকে এনে তাকে আটক করা হয়। রাতে তাকে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘাগড়া ইউনিয়নের চম্পাতলী গ্রামের গুপ্ত বিহারীর ছেলে আলোময় চাকমা ওরফে বলয় এক সময় ইউপিডিএফ গ্রুপ কাউখালী ইউনিটের দুর্দান্ত ক্যাডার ছিলো। পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ইউপিডিএফ ছেড়ে জেএসএস (মূল) এ যোগ দেয়।
তদন্তকালে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ঘাগড়া এলাকার জেএসএস (মূল) এর একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে চাঁদা কালেক্টর ও তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রজেষ্ট থেকে অস্ত্র দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। গত ৯ আগস্ট তারিখে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘাগড়া স্বধর্ম বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণকারী ঠিকাদার তুলাই মার্মা ও এরশাদের কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। এছাড়া দেওয়ান পাড়া এলাকায় পার্বত্য কৃষি পরিষদের আওতাধীন সেচ প্রকল্পের কাজের ঠিকাদারের কাছে সমমূল্যের চাঁদা দাবি করে। উভয় ঠিকাদার হতে ওই জেএসএস (মূল) সদস্য ৩৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে বলে জানা যায়। ভিডিও ক্লিপ ও সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে ওই ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই টাকা জেএসএস (মূল) এর আঞ্চলিক কমান্ডারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
আলোময় চাকমা বলয় (৫২) ওই অঞ্চলের চাঁদা সংগ্রহের পাশাপাশি শান্তিচুক্তি বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে ও সরাসরি জড়িত বলেও জানা যায়।