সামরিক যুদ্ধবন্দী বিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এক মাস ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে এই প্রথম যুদ্ধবন্দী বিনিময় করল দুই দেশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই বন্দী বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বন্দী বিনিময় প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আদেশের পর প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবন্দী বিনিময় হয়েছে।’ রাশিয়ার মানবাধিকার ন্যায়পাল তাতিয়ানা মোসকালকোভা উভয় বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বন্দীদের সংখ্যা উল্লেখ করে ইরিনা ভেরেশচুক বলেন, ‘আমরা ১০ জন “দখলদার” বন্দীর বিনিময়ে আমাদের ১০ জন সেনাকে উদ্ধার করেছি।’
ভেরেশচুক আরও বলেন, ‘এর আগেও কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী বন্দরনগরী ওদেসার কাছে রাশিয়ার ১১ জন বেসামরিক নাবিক ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে এবং রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে ১৯ জন ইউক্রেনীয় বেসামরিক জাহাজ ক্রুর সঙ্গে বিনিময় করা হয়েছিল।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছে, মস্কো ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে তাদের ‘বিশেষ অভিযান’ শুরুর পর দুই দফায় বন্দী বিনিময় সম্পন্ন করেছে।
রাশিয়ার মানবাধিকার ন্যায়পাল তাতিয়ানা মোসকালকোভা বলেন, ‘রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে দখল করা দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের শহর মেলিতোপোলের মেয়রের মুক্তির জন্য ৯ জন রুশ বন্দী বিনিময় করা হয়েছে।’
মুক্তির পর মেলিতোপোল ইভান ফিওদোরভ জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী তাঁকে একটি কক্ষে ফেলে রেখে কয়েক ঘণ্টা ধরে চাপ দিয়েছিল। সে সময় তিনি বলেছিলেন রুশরা তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে চেয়েছিল, যাতে তাঁর পরিবর্তে একজন রুশপন্থী মেয়র দায়িত্ব নিতে পারে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারই আরেকটি ভিডিও ভাষণে ভেরেশচুক আরও বলেন, রুশরা ইউক্রেনের ১৪ জন কর্মকর্তাকে বন্দী করেছে। বন্দীদের বেশির ভাগই স্থানীয় রাজনীতিবিদ কিংবা সিটি কাউন্সিলের প্রতিনিধি। এ সময় ভেরেশচুক তাঁদের মুক্তি দাবি করে বলেন, যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের বন্দী করা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।