বাড়িময়মনসিংহ বিভাগনেত্রকোণা জেলাউপজেলা পরিষদ নির্বাচনে,নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাড়ালেন জাহিদুল ইসলাম সুজন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে,নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাড়ালেন জাহিদুল ইসলাম সুজন।

মো: পিয়াস,পূর্বধলা (নেএকোণা) শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি:

সারাদেশে অনুষ্ঠিতব‍্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পূর্বধলায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পরও একেবারেই শেষ মুহুর্তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পূর্বধলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি টানা দুই মেয়াদের উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন।

আজ ১৪ মে (মঙ্গলবার) তার নির্বাচন পরিচালনা অফিসে বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক, দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভনুধ্যায়ীগণের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি ‘ঘোড়া’ প্রতীক নিয়ে মাঠে ছিলেন।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। স্থানীয় পর্যায়ে বর্তমান রাজনৈতিক জটিল পরিস্থিতি ও নির্বাচন কেন্দ্রীক নানাবিধ মেরুকরণ আমলে নিয়ে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে তাই তিনি নিজেকে বিরত রাখাই সমীচীন বলে মনে করছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই, এরপরও কেন তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি আজকের আরবান প্রতিনিধিকে জানান, “ঘোষনা দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পরও ব্যালটে আমার নামে বরাদ্দকৃত প্রতীক থেকেই যাবে আর নির্ধারিত প্রতীকে প্রাপ্ত নগণ্য ভোট সংখ্যা সাময়িক অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতিতে অস্থির পরিস্থিতি, অস্বাভাবিক টাকার খেলা, পেশি শক্তির মহড়া থেকে আমার কর্মীদের নিরাপদ রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। সকল দিক বিবেচনায় নিয়েই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি, অতীত অভিজ্ঞতার বিবেচনায় কর্মী-সমর্থকদের নিরাপদ রাখাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”

টানা দুই মেয়াদে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে থেকেও কেন নির্বাচনে আর্থিক প্রস্তুতি অপ্রতুল এমন প্রশ্নে তিনি এই প্রতিনিধিকে বলেন, “গত ৩০ বছর ধরে জনমানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদন করেছি। আমি চেষ্টা করেছি জনগণের সাথে থাকার, তাদের জন্য কাজ করার। ভেবেছি আমার দীর্ঘ এই রাজনৈতিক জীবনে মানুষের ভালোবাসাই আমার বড় সম্পদ। আমার উপজেলা চেয়ারম্যান পদের সবটুকু ক্ষমতা, সক্ষমতা, বরাদ্দ আমি এই উপজেলার মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছি। চেয়ারম্যান পদে থেকে নিজের জন্য কিছুই করিনি। সাধারণ মানুষের নির্ভরতা ও ভালোবাসার প্রতি আস্থা রেখেই আমি অর্থ উপার্জনের দিকে মনোনিবেশ করিনি। এতকিছুর পরও যে নির্বাচন অর্থ এবং পেশিশক্তির উপর নির্ভর করে করতে হবে আমি সে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোই শ্রেয় বলে মনে করছি।”

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না এমতাবস্থায় কোন প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি সরে দাড়ানোয় তিনজন প্রার্থীর মধ্যে যিনি পূর্বধলা উপজেলার উন্নয়নের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন তাকেই ভোটারগণ গ্রহণ করবেন বলে আমি মনে করি। তার পরও সকল দিক বিবেচনায় দু-একদিনের মধ্যে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সকল নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

তিনি দীর্ঘ পথ চলায় তার কোন কথা, কাজ, সিদ্ধান্ত বা আচরণে কেহ সামান্যতম কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি সংশ্লিষ্টজনের প্রতি বিশেষভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। সেই সাথে পূর্বধলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের জন্য আগামী দিনে নতুন নেতৃত্বে সুন্দর একটি সমাজ প্রত্যাশা করেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments