
টুংগীপাড়া(গোপালগঞ্জ)নিজস্ব প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১নং কুশলী ইউনিয়ন পরিষদে প্রায়ই পাওয়া যায় না, চেয়ারম্যান ও সচিবসহ অফিস সহকারীকে ইতি পূর্বে অনলাইন পোর্টালে এ বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করার সত্ত্বেও হয়নি কোনো প্রতিকার। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে অনিয়মিতভাবে চলছে পরিষদ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে কুশলী ইউনিয়ন পরিষদের মনোনীত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বেলায়েত হোসেন সরদার। গত ২৫ সেপ্টেম্বর দিদার হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদার গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করে প্যানেল চেয়ারম্যান ১ ও ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসতিয়াক আহাম্মেদ। দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। প্রায়ই সময় পরিষদে কোনো কাজে গেলে পাওয়া যায় না চেয়ারম্যান, সচিব ও অফিস সহকারী পবিত্রকে। ভুক্তভোগি মনির হোসেন বলেন, আমি এ পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ দিন পরিষদে এসেও চেয়ারম্যান ও সচিবকে পরিষদে পায়নি, আর আমার সমস্যার সমাধানও করতে পারেনি। কখনও এসে পাই অফিস সহকারীকে আবার কখনও এসে পাই চৌকিদারকে। কাকে দিয়ে আমার কাজ করাব।আরেক ভুক্তভোগি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, আমি গত দুই দিন যাবত ঘুরতেছি আমার একটি জন্মনিবন্ধন আর একটি ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন, চেয়ারম্যানকে পাচ্ছি না। এসে পেয়েছি এক চৌকিদারকে তিনি তো এইগুলো দিতে পারছেন না। এ বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহাম্মেদের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রথম দিন বলেন, আমি উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসে কাজে আসছি আজকে আর পরিষদে আসা হবে না। দ্বিতীয় দিনে আবার তার সঙ্গে পরিষদে দেখা করতে গেলে তাকে পাওযা যায় নি। তিনি ফোনে জানান, আমার উপজেলা কাজ থাকে আমি কি পরিষদে বসে থাকব। তিনি জানান কারও যদি কাজ থাকে আমার কাছে এসে আমাকে খুজেই নেবে। আপনাদের সাংবাদিকদের এত সমস্যা কেন। পরিষদে গিয়ে তার ছেলের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এক পর্যায়ে হুমকি-ধামকি দেন।স্থানীয় এক সাংবাদিককে বলেন, তোরা সাংবাদিকরা কি করতে পারবি যা পারিশ তাই কর,আমার বাবার কিছুই হবে না। সচিবের সঙ্গে ২ দিনই মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান,আমার গোপালগঞ্জ এ অফিসিয়াল কাজ থাকে।আমি অফিসিয়াল কাজে গোপালগঞ্জ আসছি। এ বিষয় নিয়ে অফিস সহকারী পবিত্রর মুঠফোনে ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।