
শিশির হাওলাদার,গলাচিপা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা এলাকায় বহু আলোচিত নূরু খান হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামীরা জামিনে এসে আবারো আতঙ্ক ছড়িয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী পরিবার ও নিহতের বড় ছেলে আলী খান।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভূইয়া বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। ভুক্তভোগী পরিবারের বড় ছেলে আলী খান ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘ দিন ধরে আঃ মন্নান ভূঁইয়া ও তার ছেলেদের সাথে জমিজমা নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা, দেনদরবার, শালিসি চলে আসছিলো ভুক্তভোগী পরিবার নিহত নুরু খান এর সাথে। পরে মামলা উঠিয়ে নিলে শুরু হয় মন্নান ভূইয়ার নতুন করে নীলনকশা এবং সেটা বাস্তবায়ন করে নূরু খানকে হত্যা করে।
ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ২৫’শে জুলাই সন্ধ্যায় জমি জমার বিরোধ ও স্লুইসগেটে মাছ ধরা’কে কেন্দ্রে করে। চরকাজল ৮ নং ওয়ার্ডের বড়শিবা স্লুইসগেট বাজারে হত্যার উদ্দেশ্যে আঃ মন্নান ভূঁইয়া এবং তার সাত ছেলে মোঃ রনি ভূঁইয়া, মোঃ চুন্নু ভূঁইয়া, মোঃ হুমায়ুন ভূঁইয়া, মোঃ মনির ভূঁইয়া, মোঃ রাহাত ভূঁইয়া এবং আহাত ভূঁইয়া সহ নারী পুরুষ আত্মীয় পরিজন নিয়ে দেশীয় ধারাল অস্র দারা হামলা করে, এ হামলায় নুরু খানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত হলে, ঘটনা স্থালেই মর্মান্তিক মৃত্য হয় তার।
তাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে তাদের সন্ত্রাসীবাহিনীর তাণ্ডবে নিহত নুরু খান এর একাধিক ছেলে ও পরিবারের লোক অধিকাংশ’ই গুরুতর আহত হয়। ঐ সময়ে মন্নান ভূঁইয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের বর্বরিত ঘটনায় গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে চিহ্নিত ৩০ জন সহ অজ্ঞত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ১৩৩/২২। পরে পুলিশ বাহিনী গ্রেফতার অভিযানে পলাতক আঃ মন্নান ভূইয়া সহ তার ছেলেরা গ্রেফতার হয়।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়, ২০২২ সালের লোহমকার্ষ বর্বরিত ঘটনায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে বেরিয়ে আসার পর আবারো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম সৃষ্টি করে বেরায়। নিহত নুরু খান হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী ভূক্তভোগী পরিবার ও স্বাক্ষীদের উপর আবারো একের পর এক আক্রমণ, হুমকি ধমকি চালায়। শুধু তাই নয়,রনি বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বাদ যায়নি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১২ মার্চ মঙ্গলবার ভোলা চরফ্যাশন,পটুয়াখালী সিমান্তে ও নুরু খান হত্যার ঘটনা স্থান সংলগ্ন মোতাহার আলিম মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাতের আধারে পেট্রোল দিয়ে শ্রেনীকক্ষে আগুন ধরিয়ে এলাকায় আতাঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে ভোলার চরফ্যাশন দুলার হাট থানায় আলোচিত নূরু খান হত্যা মামলার আসামী রনি ভূূইয়াঁর সন্ত্রাসী বাহিনীকে আসামী করে ১৩ মার্চ বুধবার মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ ফকর উদ্দিন একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আঃ মন্নান ভূইয়া ও রনি ভূঁইয়ার আক্রমণ থেকে কোন মতে বেচেঁ ফিরে ১৬ মার্চ শনিবার ২০২৪ তারিখে কাঞ্চন পাটোয়ারির ছেলে রফিক পাটোয়ারি ( সরদার) গলাচিপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং ৬৫৯/২০২৪। সন্ত্রাসী রনি বাহিনীর তাণ্ডবে চরকাজল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগন দিশেহারা হয়ে কোন মতে দিনযাপন করছে। তবে নিহত নূরু খান এর পরিবার ও হত্যা মামলার স্বাক্ষীরা বেশি দিশেহারা হয়ে পরেছে তাদের জীবন নিয়ে।
এনিয়ে আসছে দ্বিতীয় পর্ব চোখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।