
জামাল উদ্দিন,কমলনগর(লক্ষ্মীপুর)শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ
দেশ ব্যাপী খাল বিল থেকে শাপলা তুলে সংসার চালাচ্ছেন নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ। লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলায় বন্যার পানি থাকার কারণে অনেকে কৃষি উৎপাদন করতে পারেনি,
তার কারণে ঐ কৃষি জমি গুলোতে জাতীয় ফুল শাপলা প্রচুর দেখা দিয়েছে আর মানুষ জমিতে কৃষি উৎপাদন করতে না পেরে সংসার চালেতে হিমসিম খাচ্ছে প্রায় লক্ষধিক পরিবার।
কথায় আছে পেটের জালা বড়ো জালা,
তারি ধারাবাহিকতায় সংসার চালাতে খাল বিল থেকে জাতীয় ফুল শাপলা তুলে বিক্রি করে কোনো রকম সংসার চালাচ্ছেন নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ।জাতীয় ফুল শাপলা প্রায় দুই যুগ পরে সবজি হিসাবে বাজারে খুবই পরিচিত পেয়েছেন। শাপলার পাশাপাশি, গ্রামের আগান বাগান থেকে কচুশাক, কচুড়ী,কলমি শাক থানকুঁড়ি, হেলেঞ্চা শাক, পিপুল শাক,তুলে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখা যাচ্ছে নিন্ম আয়ের মানুষের।
সারা দিন এসব সবজী তুলে দুই থেকে তিনশো টাকা আয় করছেন বলে জানায় কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়ন এর আলতাফ হোসেন,চর বসু গ্রামের আজিজুর রহমান, অবেদ আলী,চর পাগলা গ্রামের রাহুল চন্দ্র দাস,নিমাই দাস,অনন্য দাস,রুপালী দাস,সহ আরো অনেক পরিবার
অন্যান্য সবজীর মুল্য আকাশ ছোয়া বৃদ্ধি হওয়ায় কারণে, শাপলাসহ কদর বেড়েছে এই সবজী গুলার। কম দাম থাকায় খেটে খাওয়া ভ্যান চালক, রিক্সা চালক,কৃষি শ্রমিক, সহ নিন্ম আয়ের মানুষের তরকারি এখন জাতীয় ফুল শাপলাসহ বাগানের বিভিন্ন তরকারির।
রুপালি দাস জানায় বর্তমানে আমরা না খেয়ে দিন পার করছি। আগে আমার স্বামী কৃষি কাজ করে সংসার চালাইতো। এই বছর বন্যার পানি এসে সবার ফসলি জমি নষ্ট করে দেওয়ার কারণে আমাদের পরিবারের কাজ কাম বন্ধ থাকার কারণে খুব বিপদে আছি।
তরিতরকারি, চাউল ডাউল, সব কিছুর দাম পাঁচ গুন বৃদ্ধি হয়েছে। দিনে আয় দুই শত,একশত টাকা যা দিয়ে চাউল কেনা যায় না,তা দিয়ে সংসার চালাবো কি করে। না খেয়ে মরছি এখন ছেলে মেয়েদের মুখে তিনবেলা না হলেও দুই বেলা দুটো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য শাপলা তুলে বিক্রি করছি। সরকার দেশ সংস্কার করছে বলছে, কিন্তু আমাদের মতো হাজার হাজার গরীব মানুষ না খেয়ে থাকি হয়তো তাদের জানা নেই।