বাড়িচট্টগ্রাম বিভাগকুমিল্লা জেলাতিতাসে শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের খোঁচায় শিক্ষার্থীর চোখ নষ্টের অভিযোগ।

তিতাসে শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের খোঁচায় শিক্ষার্থীর চোখ নষ্টের অভিযোগ।

সঞ্জয় চন্দ্র দাস তিতাস(কুমিল্লা)নিজস্ব প্রতিনিধি

কুমিল্লার তিতাসে শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর এক শিক্ষার্থীর চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষার্থীর নাম ফারহান ইসলাম রোহান (৮) সে উপজেল দক্ষিণ আকালিয়া গ্রামের প্রবাসী মো.রবিউলের ছেলে এবং সেবা মাল্টিমিডিয়া আইডিয়াল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন ভিকটিমের মা। ভিকটিমের চাচা মোফাজ্জল মেম্বার জানায়, আমার ভাতিজা রোহান খুব মেধাবী ছাত্র তার রোল নং-৩। গত সোমবার ক্লাস চলাকালে নাকি সে দুষ্টমি করেছে। এতে সহকারী শিক্ষক সৌরভ তার হাতের একটি প্লাস্টিকের রোলার দিয়ে রোহানকে আঘাত করে। তখন রোলারটি ভেঙ্গে অর্ধেক হয়ে যায়। এ সময় রুহানের একটি বই মাটিতে পড়ে গেলে সে বইটি মাটি থেকে উঠাতে গেলে শিক্ষক সৌরভ তার হাতে থাকে রোলারের ভেঙ্গে যাওয়া বাকি অংশ ছুঁড়ে মারলে তা সরাসরি রুহানের ডান চোখে লাগে। এতে তার ডান চোখ থেকে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে -এরপর ৩ এর পাতায়

 

ঢাকার একটি চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাই। আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তব্যরত চিকিৎসকগন অপারেশনের পর জানান, রুহানের চোখ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ ও চোখের সব পানি ঝরে গিয়ে চক্ষু পানিশূন্য হয়ে তা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা করেও তার চক্ষু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. সৌরভ বলেন, আমি দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়া নিচ্ছিলাম। এ সময় শিক্ষার্থী রোহান দুষ্টমি শুরু করে দেয়। আমি হাতে থাকা রোলার দিয়ে তাকে আঘাত করি, তাতে স্কেলটি ভেঙ্গে অর্ধেক অংশ মাটিতে পাড়ে যায়। তার পর আমার হাতে থাকা রোলারের অংশ দিয়ে তাকে তাকে ভয় দেখাতে গেলে সে এগিয়ে এলে তার চোখা লাগে। এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। ওই ছাত্রর চিকিৎসার যা প্রয়োজন হয় আমি তা করবো। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভিন ভানু জানান, এ বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন শিশুটির মা। আমরা প্রতিষ্ঠান পরিচালককে শোকোজ করেছি। তবে বেত দিয়ে আঘাত করার কোন বিধানই নেই। শুধু তাই নয় শ্রেণিকক্ষে বেত নিয়ে যাওয়ারও অনুমতি নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, ব্যাপারটি আমি শুনেছি। শিশুটির স্বজনরা আমাকে মা লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments