
মোঃ তারিকুল ইসলাম, হোমনা(কুমিল্লা)সংবাদদাতা।
কুমিল্লার হোমনায় টেন্ডার ছাড়াই সরকারি গাছ উপড়িয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর বাজার থেকে রামকৃষ্ণপুর বাজার পর্যন্ত সড়কের কাজ করতে গিয়ে বনকর্মকর্তা অনুমতি, কোনো টেন্ডার ছাড়াই
সড়কের পাশে থাকা বিশাল আকৃতির অনেক গুলো কাছ ভেকু দিয়ে উপড়িয়ে ফেলে দিয়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা বনকর্মকর্তা মো. মাজহারুল জানান, প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আমাদের কে এবিষয়ে কিছু জানাইনি এবং কোনো অনুমতি নেয়নি। ঠিকাদার মাইকিং করে সবাইকে বলেছে রাস্তার পাশে থাকা গাছ গুলো কেটে নেওয়ার জন্য। ঠিকাদারের মাইকিং করার পর আমাদের অনেক গুলো মেহকনি কাঠ গাছ অপসারণ করা হয়েছে। ভেকু দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতের বড় বড় গাছ উপড়িয়ে ফেলে দিয়েছে। যার মূল্য প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা। ঠিকাদারকে বাধা দিতে গেলে হোমনাতে থাকা স্টাফদের কে উল্টো পালটা কথা বলেছে প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার। তিনি আরও বলেন মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বিভাগীয় বনকর্মকর্তার অনুমতি পেলেই মামলা করা হবে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম কবির বলেন, এবিষয়ে আমরা অবগত হয়ে মামলা করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে কথা বলেছি উপজেলা বন কর্মকর্তা একটা রিপোর্ট দিয়েছে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।বন বিভাগের সদস্যদের সাথে ঠিকাদারের লোকজন বা ভেকু ড্রাইভার খারাপ আচরণ করে থাকতে পারে তা আমার জানা নাই
অভিযুক্ত উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমি বনকর্মকর্তা কে জানিয়ে গাছ গুলো উপড়িয়ে ফেলার জন্য অনুমতি দিয়েছি। তিনি আরও বলেন গাছ গুলোর টেন্ডার করা হয়নি তবে এখন টেন্ডার করা হবে। কোন বনকর্মকর্তা কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে তা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন এই বিষয়ে আমার আর কোনো বক্তব্য নেই।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোস্তফা জামান ট্রেডার্স কে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।