বাড়িঅন্যান্যধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি   কার্ডধারী রোগীরা ওষুধ পাচ্ছে না, দেখার কেউ...

ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি   কার্ডধারী রোগীরা ওষুধ পাচ্ছে না, দেখার কেউ নেই

রবি মিয়া ।। ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ)নিজস্ব প্রতিনিধি

৫০শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিবন্ধিত কার্ডধারী ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত  রোগীরা  হাসপাতালে এসে গত তিন মাস ধরে পর্যাপ্ত ওষুধ পাচ্ছেন না।  এ অবস্থায় বিনামুল্যে ওষুধ পাওয়া এসব কার্ডধারী রোগীরা বাইরে থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে গিয়ে তাদেরকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে,  ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে।  উচ্চ রক্ত চাপ এবং ডায়াবেটিস  ও উচ্চ রক্ত চাপ উভয় রোগে আক্রান্ত কার্ডধারী রোগীদেরকে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্ণারে ২০২১সালের ৭অক্টোবর থেকে  বিনামুল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্ডধারী নিবন্ধিত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৬৯৬জন। এর মধ্যে উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৪৫২জন। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ উভয় রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন দুই হাজার ২৪৪জন। গত আগস্ট,সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের ওষুধ বরাদ্দ না আসায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত নিবন্ধিত কার্ডধারী কয়েকজন রোগী জানান, হাসপাতাল গিয়া ওষুধ চাইলে নার্সেরা বলেন ওষুধ নেই।আগস্ট মাস থেকে আমরা ওষুধ পাচ্ছি না।বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে গিয়া খুব সমস্যা হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সুদৃষ্টি প্রয়োজন।

ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুবীর সরকার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিবন্ধিত ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামুল্যে দুই জাতের ট্যাবলেট ও প্রয়োজন অনুসারে ইনসুলিন দেওয়া হয়। হাসপাতালে  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শুধুমাত্র  ইনসুলিন রয়েছে। আর ডায়াবেটিস ও  উচ্চ রক্ত চাপ উভয় রোগে আক্রান্ত রোগীদেরকে বিনামুল্যে চার জাতের ওষুধ দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে এখন দুই জাতের ওষুধ রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডি পোগ্রাম থেকে এসব রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু  চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ওষুধ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় রোগীদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি সিভিল সার্জন মহোদয় অবগত রয়েছেন। আমি একাধিকবার এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এখনো এ সমস্যার সমাধান হয়নি

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments