test
বাড়িঅন্যান্যনিজেকে জীবিত প্রমাণ করেত চান মোমিনা বেগম

নিজেকে জীবিত প্রমাণ করেত চান মোমিনা বেগম

বেঁচে আছেন মোমিনা বেগম। কিন্তু কাগজপত্রে তিনি এখন মৃত। নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচন অফিসে ঘুরে এখন ক্লান্ত রীতিমতো জীবিত এই মানুষটি। দীর্ঘ দিনেও নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে না পাড়ায় রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির কারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন জৈন্তাপুর উপজেলার মুক্তাপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল মতিনের স্ত্রী মোমিনা বেগম। তিনি জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মুক্তাপুর গ্রামের বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর স্বামীর নাম আঃ মতিন, মাতার নাম কুলছুমন নেছা। জন্ম তারিখ ০৬ আগষ্ট ১৯৫৫ ইংরেজী। জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৯১১৫৩৫২২৩৪২৬০। বর্তমানে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রে এই নম্বরে তিনি মৃত।
ভুক্তভোগী মোমিনা বেগম বলেন, প্রতিবেশী লোকজনের মতো তাঁরও জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। ৮ জুলাই ২০০৮ সালে তিনি ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র পান। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে ভোট দিয়ে আসছেন। গত উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মৃত। এমন খবরে এলাকার লোকজনও হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে বিষয়টি যাচাই করতে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের দারস্ত হন মোমিনা বেগম। কিন্তু নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মারা গেছেন। তারপর হতেই নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে আবেদন নিয়ে নির্বাচন অফিস ঘুরতে ঘুরেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
মোমিনা বেগম আরও বলেন, আমি এখনো জীবিত আছি। কিন্তু নির্বাচন কর্মকর্তার কাগজপত্রে আমি মারা গেছি। আমাকে জীবিত প্রমাণ করতে নির্বাচন অফিসের আবেদন করেছি। আবেদনের বৎসর পেরিয়ে গেলেও কোন কাজ হচ্ছে না। এছাড়া আমি কি ভাবে মারা গেলাম নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হাসানাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করে অফিস হতে বেরিয়ে যেতে বলেন। অন্যতায় পুলিশ ডেকে তাড়িয়ে দিবেন বলে হুমকী দিতে থাকেন। আমি অসহায়ের মত অফিস ত্যাগ করি। এখন কী করব বুঝতেছি না। কাগজপত্রে আমি মৃত থাকায় সব ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছি। নিজের বসত ভিটার খাজনা, ছেলে-মেয়েদের চাকুরি ও প্রবাসে বিভিন্ন আবেদনের ক্ষেত্রে অসুধিার সৃষ্টি হচ্ছে।
ভুক্তভোগী মোমিনা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, এই আমাদের সোনার বাংলাদেশের চিত্র, যে দেশে জীবিত বেঁচে তাকার পরও আমি মৃত। জানি না নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে আর কত দিন ঘুরতে হবে আমার সরকারের এই দপ্তরটিতে। কি কারনে আমি মারা গেলাম তাও জানতে পারছিনা দপ্তর হতে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট লিখিত আবেদন করব। যদিও মরার আগে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে পারি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হাসানাত বলেন, তথ্য সংগ্রহের সময় ভুল হওয়ায় সমস্যা হয়েছে। ভোক্তভোগীর সাথে আমি খারাপ আচরন করেনি। তার আবেদনের পর লিখিত ভাবে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছি।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments