বাড়িরংপুর বিভাগপঞ্চগড় জেলাপ্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন ডিভোর্সি প্রেমিকা।

প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন ডিভোর্সি প্রেমিকা।

লক্ষ্মণ রায়,প্রতিনিধি(শিক্ষানবীশ)দেবীগঞ্জ পঞ্চগড়।

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপালে প্রেমের টানে এক ডিভোর্সি প্রেমিকা ২ দিন ধরে বিয়ের দাবি নিয়ে হাজির হয়েছে প্রেমিকের বাড়িতে

প্রেমিকা মোছাঃ মোকছেদা আক্তার(২৭) ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়া ইউনিয়নের শিবগঞ্জ শেনপাড়া এলাকার আব্দুল মোমিনের মেয়ে।

প্রেমিক মোঃ শামীম রানা(১৮) পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ৮ নং দণ্ডপাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড শান্তিনগর এলাকার মো: আব্দুল মান্নান মোল্লার ছেলে।

প্রেমিক শামীম রানার বাড়িতে গতকাল শনিবার (৮ জুন) দুপুর ৩টার সময় বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন প্রেমিকা।

মোকছেদা আক্তার প্রতিবেদককে জানান, “শামীম রানার সাথে আমার প্রায় ২/৩ বছর ধরে গভীর প্রেমের সম্পর্ক । প্রেমের সম্পর্কের কারনে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতাম”।

“ময়নামতির চর,খয়ের বাগান,নীলসাগর, গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় আমরা দেখা স্বাক্ষাত করতাম। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শামীম রানা আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে”।

“শামীম রানার সাথে আমার সম্পর্ক ফেসবুকের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। তার সাথে ভিডিও কলে কথা বলি, মেসেঞ্জার চ্যাটিং করি, মোবাইলে কথা বলি এছাড়াও অসংখ্য প্রমান আছে। শামীমের জন্য আমি আমার পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়েছি। শামীম রানার বাড়িতে আসার পরেও আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। শামীম রানার বাড়িতে আসার পর আমরা দুজনে একসাথে একইরুমে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা ছিলাম। তারপর শামীমের বাড়ির লোকজন তাকে ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে, বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তার অভিভাবকরা তাকে বলে তুমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাও। এখন শামীম যদি আমাকে বিয়ে না করে ওর অভিভাবক যদি আমাকে পুত্রবধু হিসেবে মেনে না নেয় তাহলে আমার আত্মহত্যা করবো। আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবার জন্য শামীম রানার বোন রিনা আকতার আমাকে চুলের মুঠি ধরে মারপিট করে। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে”।

গাজিপুরে গার্মেন্টসে চাকরী করার সুবাদে দুই জনে এই প্রেমে জড়িয়ে যায়।মোকছেদা আক্তার ডিভোর্সি। ইতিপূর্বে তার বিয়ে হয়েছিল। সে ঘরে ৭ বছরের একটি ছেলেও আছে। পূর্বের স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর বাড়িতেই ছিল।

শামীম রানার বাড়িটি দন্ডপাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে।ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুরুজ্জামান বলেন, “মেয়ের পরিবারের লোকজনকে ফোন দেওয়া হয়েছে।মেয়ে পক্ষ যদি আসে সমাধানের চেষ্টা করবো”।

দন্ডপাল ইউপি চেয়ারম্যান আজগড় আলী জানান, “মেয়েটিকে গতকাল থেকে গ্রাম পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তায় রেখেছি । মেয়ের অভিভাবক না আসা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।মেয়ে পক্ষের লোকজন আসলে, বসে সিদ্ধান্ত নিবো “।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments