বাড়িবরিশাল বিভাগপটুয়াখালী জেলাবাউফলে আলোচিত ব্যবসায়ীকে অপহরণকারী আরো ৩জন গ্রেফতার

বাউফলে আলোচিত ব্যবসায়ীকে অপহরণকারী আরো ৩জন গ্রেফতার

মো. ফোরকান বাউফল (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিবানন্দ রায় বণিক ওরফে শিবু বণিককে (৭৬) অপহরণ ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।

ডাকাতি করে নগদ অর্থ লুট ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই এঘটনা ঘটেছে।

এঘটনায় এই তিনজনসহ মোট আট ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১জানুয়ারি) তথ্য ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় পটুয়াখালী, গাজীপুর ও ঢাকায় অভিযান চালিয়া মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে বাউফল থানা পুলিশ।

পরে রাত ৮টায় গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানায় বাউফল থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত উপজেলার বড় ডালিমা গ্রামের ছালাম সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২২), চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা বশার বেপারীর ছেলে মো. কাওছার হোসেন (২৩) ও
আঃ মতলেব হাওলাদারের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন (২৫)।

এরআগে গত ৫ই জানুয়ারি এই মামলায় আরো পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে বাউফল থানা পুলিশ।

তারা ৫জনই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছিলো।

ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনার মামলার তদন্ত অফিসার ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার (৩জানুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে কালাইয়া বন্দর এলাকায় কানু প্রিয় ভান্ডারের দুই কর্মচারীকে বেঁধেরেখে প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লুট করে এবং অস্ত্রের মুখে প্রতিষ্ঠানটির মালিক শিবু বনিককে অপহরণ করেছিলো ডাকাতদল। পরে নির্জন এলাকায় নিয়ে একটি ঘরে চোখ-মুখ বেঁধে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুঠোফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

অপহরণের ৫২ঘন্টা পরে ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রাম থেকে শিবু বনিককে উদ্ধার করে আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। পরের দিন অপহরণে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং এঘটনায় ব্যবহৃত পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র, সাতটি মুঠোফোন, দুই জোড়া জুতা, মানকি টুপি ও লুটের দেড় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

অতিরিক্ত অর্থ প্রাপ্তি লোভে এই ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

ইতিপূর্বে গ্রেফতার ঝালকাঠির মাসুদ শরীফ (২৪) শিবু বণিকেরই একটি কোম্পানির এসআর হিসেবে কাজ করতেন। তার পরামর্শে প্রধান আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমান পরিকল্পনা করে ডাকাতির সরঞ্জাম সংগ্রহ করে এবং ঘটনার নেতৃত্ব দেয়। এরআগে গ্রেফতার অন্যরা হলেন, বাউফল উপজেলার বড় ডালিমা গ্রামের মো. মিরাজ মৃধা (২০), মো. জহির প্যাদা (২৭), বিধান চন্দ্র মিস্ত্রি (২২) ও ভোলার দক্ষিণ আইচার চর পাচুকিয়া গ্রামের আতিকুল।

এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, নয় সদস্যের ডাকাত দল এ ঘটনায় জড়িত।
মূল পরিকল্পনাকারীসহ ডাকাত দলের আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুব শিগগির বাকি একজনকেও গ্রেফতার করা হবে।

প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ী শিবু বনিক ওই বন্দরের একজন বড় ব্যবসায়ী। তিনি কয়েকটি কোম্পানির পণ্যের ডিলার। এ ছাড়াও তিনি চাল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments