বাড়িচট্টগ্রাম বিভাগকক্সবাজার জেলাবার্ষিক শিক্ষা সফর সমাপ্ত করলো চকরিয়ার আলোড়ন সৃষ্টি কারী প্রতিষ্ঠান " ব্রিলিয়ান্ট...

বার্ষিক শিক্ষা সফর সমাপ্ত করলো চকরিয়ার আলোড়ন সৃষ্টি কারী প্রতিষ্ঠান ” ব্রিলিয়ান্ট টিচিং হোম”

রাজিবুল ইসলাম,চকরিয়া (কক্সবাজার)  নিজস্ব প্রতিনিধি: 

চকরিয়া থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের মাধ্যমে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনে সহায়ক ভুমিকা রাখলো চকরিয়ার আলোড়ন সৃষ্টি কারী প্রতিষ্ঠান ব্রিলিয়ান্ট টিচিং হোম। দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম ফয়েসলেক-সী ওয়ার্ল্ড,পতেঙ্গা সী-বীচ,মেরিন ড্রাইভ শিক্ষাসফরের একটি অন্যতম অংশ ছিল। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করানো। এটি শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাভাবিক শিক্ষার পাশাপাশি জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে শেখার সুযোগ তৈরি করেছে।
 শিক্ষাসফরের উদ্দেশ্যে সকাল ৮টায় চকরিয়া থেকে বাসে যাত্রা শুরু করে।ব্রিলিয়ান্ট টিচিং হোমের শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকেরা প্রস্তুতি নিয়ে বাসে চড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাস্তায় চলাকালীন সময় শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে গল্প করছিল এবং শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করছিলেন।

ফয়েসলেক চট্টগ্রামের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এটি একটি কৃত্রিম লেক যা শহরের মাঝখানে অবস্থিত। এখানে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা লেকের চারপাশে হাঁটাহাঁটি করে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে শুরু করে। ফয়েসলেকের আশেপাশের সবুজ বাগান এবং লেকের পরিষ্কার পানি শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা দেয়।
ফয়েসলেক পরিদর্শন শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ দেয়নি, বরং এটি তাদের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বোঝান যে, এই ধরনের প্রকৃতি-সংরক্ষিত স্থানে পরিভ্রমণের মাধ্যমে তারা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্যাগ, কর্ম ও প্রকৃতির প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব গ্রহণ করতে শিখবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা ফয়েসলেকের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গাছপালা, ফুল এবং স্থানীয় জীবজন্তু সম্পর্কে আলোচনা করেছে। শিক্ষকদের সহায়তায় তারা নোটস তৈরি করে প্রকৃতির বৈচিত্র্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। শিক্ষার্থীরা সফর শেষে ফয়েসলেকের কাছে একটি স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ছবি তোলে এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা একে অপরকে জানায়। সফরটি তাদের মনে দীর্ঘদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। এছাড়া তাদের মধ্যে দলগত কাজের মনোভাব এবং সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফয়েসলেকের সফর শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শিক্ষণীয় এবং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা ছিল। এটি তাদের পরিবেশ সচেতনতা এবং প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করেছে। চকরিয়া থেকে চট্টগ্রামের ফয়েসলেক সফর শুধুমাত্র একটি শিক্ষাসফর নয়, বরং একটি জীবনের মূল্যবান অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments