বাড়িরংপুর বিভাগদিনাজপুর জেলাবীরগঞ্জে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন  

বীরগঞ্জে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন  

মো: ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)নিজস্ব প্রতিনিধি:
 উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জে টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। সূর্যের দেখা মিললেও বইছে হিম বাতাস। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবনে।
রাতের হিমশীতল বাতাসের কারণে এ উপজেলায়  শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশা না থাকলেও রাতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। বুধবার (২২ জানুয়ারি)  সকাল থেকেই প্রায় দিনভর সূর্যের দেখা মিলেনি। প্রায় দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় এবং দিনভর হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় অনুভূত হয় কনকনে শীত। একাধিক গরম কাপড় গায়ে দিয়েও শীত নিবারণ করতে হিমশিম খেতে হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালায়। সরেজমিনে সকালে ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা না থাকলেও বইছে তীব্র হিম বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। শীতের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিত করমে যাচ্ছে। হিম হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছেন। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজমান। কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের বর্ষা গোপালপুর গ্রামের রিকশা চালক মো: সোহেল জানান,কয়দিনের শৈত্যপ্রবাহের কারণে ইনকাম কমে গিয়েছে। শীতের তীব্রতার কারণে শহরে মানুষ থাকছে না। সারাদিন গাড়ী চালিয়ে মাত্র ২০০ টাকা ইনকাম হয়েছে। হোটেল ব্যবসায়ী মঙ্গল বলেন,মাঘ মাস শুরু হতে না হতেই প্রচন্ড শীত অনুভূত শুরু হয়েছে। শীত উপেক্ষা করে দোকানে আসলে কি হবে, বেচাকেনা নাই বলেই চলে। প্রত্যকে দিনে লোকেশান গুনতে হচ্ছে। বেলা ডুবার সাথে সাথে জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে পুরো এলাকা। 
বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে এর সামনে পানের দোকানদার মকবুল হোসেন জানান,তীব্র শীতে মানুষ জুবুথুবু হয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছে। সারাদিন ধরে সুর্যে দেখা মিলছে না। শহরে মানুষ  না থাকলে বেচাকেনা কিভাবে হবে। এতে ইনকাম কম হচ্ছে। 
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments