test
বাড়িঅন্যান্যভারতীয় চাউল আটককে কেন্দ্র করে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ জন দূর্ভোগ চরমে

ভারতীয় চাউল আটককে কেন্দ্র করে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ জন দূর্ভোগ চরমে


জৈন্তাপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ভারতীয় চাউল বোঝাই ডিআই ট্রাক আটককে কেন্দ্র করে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ। উত্তরপূর্ব সিলেটের তিন উপজেলার যাত্রী সহ পর্যটকরা চরম দূর্ভোগে, যেন দেখার কেউ নেই। চালক শ্রমিক ও সচেতন মহলের অভিযোগের তীর সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে।
দীর্ঘ দিন হতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে ভারতীয় চোরাচালান অবাধে চলে আসাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে জৈন্তাপুর হয়ে উঠেছে চোরাকারবারের স্বর্গ রাজ্যে। রাতভর উপজেলা বিভিন্ন চোরাই পথ দিয়ে ভারতীয় পণ্যসামগ্রী, মাদক, কসমেট্রিক্স সামগ্রী, ভারতীয় নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, হরলিক্স, গাড়ীর টিউব-টায়ার, ভারতীয় মোবাইল হ্যান্ডসেট, মটর সাইকেল, ভারতীয় গরু-মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও তেমন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিয়োজিত সোর্সম্যানদের মাধ্যমে চোরাকারবার পরিচালনা করে আসলেও কোন অভিযান পরিচালনা হয়না বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। ১১মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় জাফলং হতে ছেড়ে আসা ১২০বস্তা ভারতীয় চাউল বোঝাই ডিআই ট্রাক উপজেলার দরবস্ত বাজার হতে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ আটক করে। অবৈধ ভাবে নিয়ে আসা চাউল বোঝাই ট্রাক ও চালক ছেড়ে দেওয়ার জন্য ট্রাক চালক শ্রমিকরা দুপর অনুমান ২টায় সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে। অবরোধের কারনে সিলেট-জাফলং, সিলেট-কানাইঘাট ও সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে চলাচল করা যাত্রীবাহি বাস, মাইক্রেবাস, সিএনজি, অটোরিক্সা, লেগুনা সহ পর্যটকবাহী ও পন্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে জন দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।


নামপ্রকাশ না করার শর্তে অবরোধকারীরা জানান, দিন রাত সমান তালে সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গত ৬মাস হতে ভারতীয় গরু-মহিষ, ভারতীয় শাড়ী, কসমেট্রিক্স, মোবাইল হ্যান্ডসেট, মটরসাইকেল, মাদকের চালনা, ভারতীয় শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, ভারতীয় চাউল সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সোর্সম্যানদের মাধ্যমে নিয়ে আসা হলেও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে। শুধুমাত্র আজ আমাদের গাড়ীটি পুলিশ আটক করে চালক সহ ২জনকে থানায় নিয়ে যায়। তারা আরও অভিযোগ করেন জৈন্তাপুর সীমান্তের মোকামবাড়ী, মোকামপুঞ্জি, শ্রীপুর, আদর্শগ্রাম, মিনাটিলা, কাঠালবাড়ী, কেন্দ্রী, ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, লালাখাল সীমান্তের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, কালিঞ্জিবাড়ী, হর্নি, নয়াবাড়ী, মাঝের বিল, লালাখাল, জঙ্গীবিল, ইয়াংরাজা, বালিদাঁড়া, তুমইর, কানাইঘাট উপজেলার সিঙ্গারীরপাড়, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, তামাবিল, নলজুরী, খাঁসিহাওর দিয়ে দিন কিংবা রাতে ভারতীয় পণ্য আসা যাওয়া করে কি করে। শুধুমাত্র আমরা ট্রাক চালক ও ডিআই চালকরা জীবিকার টানে বাংলাদেশের অভ্যান্তর হতে বহন করলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে পরিবহন শ্রমিকদের আটক করে। আমাদের দাবী আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় কি করেন। দেশের অভ্যান্তর হতে চাউল বহন করা কিভাবে অবৈধ হয় তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদের দাবী জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ অযৌতিক ভাবে আমাদের চালক ও গাড়ী আটক করেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত চালক ও গাড়ী ফেরত দেয়া হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ থাকবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহসিন আলীর নিকট একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, সিলেট-তামাবিল মাহাসড়ক অবরোধ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ হতে কিংবা অবরোধকারীদের পক্ষ হতে কেউ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ চলছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments