জৈন্তাপুর প্রতিদিন ডেস্ক:
রাতের আঁধারে সীমান্তরক্ষী বাহীনি পুলিশের সহায়তায় জৈন্তাপুর সীমান্তে দিয়ে অবৈধ ভাবে পালে পালে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় গরু মহিষ। জৈন্তাপুর সীমান্ত ঘিলাতৈল ফুলবাড়ী টিপরাখলা গৌরীশংকর কমলাবাড়ী গুয়বাড়ী দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু-মহিষের সঙ্গে আসছে ভারতীয় মদ ইয়াবা ফেন্সী
ডিল কসমেট্রি্স সামগ্রী।
গত চার মাস ধরে রাত ১১টা হতে শুরু করে ফজর পর্যন্ত চোরাকারবারীরা স্বাস্থ্য ঝুকি না মেনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতায় চোরাকারবার অব্যহত রেখেছে৷ তাই শীতের প্রকোপ ভাড়ার সাথে সাথে করোনাকালে সীমান্তে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় খামারিরা। বাংলাদেশে হতে ভারতে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার বস্তা মটরশুটি ও সুপারী ৷ গত ডিসেম্বরের শুরুতে জৈন্তাপুর সীমান্তের ১৯ বিজিবির আওতাধীন ভারতের লকর এলাকা হতে হেওয়াই বস্তি ক্যাম্পের জোয়ানরা ৯৬টি বাংলাদেশী নৌকা সহ মটর বোঝাই নৌকা আটক করে ৷ সাপ্তাহ পার হতে না হতে আবারও জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে শুরু হয় ঝাঁকে ঝাঁকে গরু মহিষ মাদকের ছড়া ছড়ি যেন দেখার কেউ নেই৷ তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দাবি, রাতের আঁধারে গরু ও মহিষ আসছে এবং মটর শুটি পাচার হচ্ছে কি না সেটি তাদের অজানা ৷
সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর ইউনিয়ন, নিজপাট ইউনিয়ন চারিকাটা ইউনিয়নের এলাকার চিহ্নিত কয়েকটি চোরাকারবারি দল স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে ভারত থেকে গরু ও মহিষ মাদক আনছে বলে স্থানিয়রা জানান ৷ এখানে বিজিবি পুলিশের প্রায় ৫০ জনের অধিক সোর্স ম্যান এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৷ গত ১সাপ্তাহ জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় রাতের আধারে ঘুরে দেখা যায় সীমান্তে আলু বাগান, শ্রীপুর, মিনাটিলা, সুপারীবাগান, কাটালবাড়ী, কেন্দ্রী হাওর, কেন্দ্রী , ডিবির হাওর, ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখালা, কমলাবাড়ী, গুয়াবাড়ী, হর্নি, মাঝেরবিল, বাইরাখেল, জালিয়াখলা, লালাখাল, তুমইর, বাঘছড়া, জঙ্গীবিল, লাল মিয়ার টিলা, বালীদাঁড়া এবং সিঙ্গারীর পাড় এলাকা দিয়ে পালে পালে ভারতীয় গরু মহিষ ভারতীয় মদ মাদক সামগ্রী কসমেট্রিক্স বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ৷
সেগুলো ভোর রাতের মধ্যেই পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে উপজেলার জৈন্তাপুর বাজার, দরবস্ত বাজার ও হরিপুর বাজারে৷ আর সেখান হতে দিনের বেলা পরিবহনের মাধ্যেমে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে। এতে করে যেমন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে, তেমনি সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় খামারিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু ও মহিষ নিয়ে আসার কাজে নিয়োজিত প্রায় ২০ হতে ২৫ জন ব্যক্তি বলেন, আমরা জঙ্গল বেধ করে ভারত থেকে এক জোড়া গরু ও মহিষ আনলে আমাদের দেয়া হয় গরু মহিষ প্রতি ১হাজার হতে ১৫শত টাকা। আর চোরাকারবারিদের নিকট হতে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নামে নিয়োজিত সোর্সরা নেয় ২ হাজার হতে ৩ হাজার টাকা ৷ অন্যান্য সামগ্রীর কিট প্রতি আমরা ৭ হতে ৮ কিলো মিটার রাস্তা বহন করে পাই ৫শত টাকা সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সোর্সরা নেয় ১হাজার হতে ১৫শত টাকা৷ তারা আরও বলেন, প্রতিদিন সোর্সম্যানরা টাকা উত্তোলন করে পরের দিন আসর হতে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ক্যাম্প ও থানায় হিসাব দিতে হয় নতুবা ঐ দিন ভারতে প্রবেশে যাওয়ার সুযোগ হয় না ৷ সোর্সম্যানরা যে পাটির টাকা পায় না তাদের লোক ভারতে প্রবেশ করতে পারে না৷ লাইনের টাকা পরিশোধের পর চোরাকারবারীরা বিশেষ সিগ্যান্যাল পেলেই আমরা রাখালিগণ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করি৷ একই নিয়মে উটজেলার তিন ইউনিয়নে প্রতিটি সীমান্ত প্রকাশে চোরাকারবার সংগঠিত হচ্ছে বলে তারা জানান ৷ এছাড়া মাঝে মধ্যে কিছু সংখ্যাক গরু মহিষ আটক করা হলেও সোর্সম্যানদের মাধ্যমে চোরাকারবারিদের কাছে গরু মহিষ প্রকাশ্য নিলাম না গোপন লিলাম দেখিয়ে বিক্রয় করা হয় বলে তারা জানান৷
সচেকন মহলের দাবী চোরাকারবার রোধে ক্যাম্প এলাকায় একটি করে করিডোর ব্যবস্থা করা জরুরী৷ করিডোর করলে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হবে না, সুনিদিষ্ট পথে গরু মহিষ আসবে ৷ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন হবে ৷ নতুবা জেলা পুলিশ ও বিজিবির উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার এবং উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে একটি ট্রাষ্টফোর্স গঠন করে অভিযান পরিচালনা করলে কিছুটা হলে চোরাকারবার রোধকরা সম্ভব হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ৷
এবিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর ক্যাম্পে একাধিক ফোন দিলে ফোন রিসিভ হয়নি ৷ দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর ফোন রিসিভ হলে প্রতি উত্তরে উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট জানতে হবে ৷ তবে উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষ কে জানতে রাজি হননি ৷
এবিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলে অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমরা মাদক রোধে তৎপর রয়েছি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন৷ সীমান্ত এলাকাগুলোর দায়িত্বে বিজিবি ভাল জানেন ৷