
মো:সিরাজুল ইসলাম পলাশ, হাতীবান্ধা লালমনিরহাট বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মাদকের ভয়াবহ ছোবলে জর্জরিত হাতীবান্ধা উপজেলা। এলাকায় বছরের বারো মাসই ঘটা করেই অভিযান চালায় পুলিশ।
হাতীবান্ধাতে ফেন্সিডিল, গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে কয়কটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এসব অভিযান করা হয়ে থাকে। অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্যই থাকে মাদক ব্যবসায়ীদের জানান দিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ইঙ্গিত করা।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হল এসব অভিযানে আটক বা জব্দ হওয়া গাজা ও ফেনসিডিল আটকের পর গায়েব করে দিয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়া।
মাদক সম্রাট জসিম সিংগীমারী ইউনিয়নের তৈয়ব আলীর ছেলে ।প্রকৃত পক্ষে সে ছিল একজন ভ্যান চালক। এখন সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।তার রয়েছে একটি আলিসান বাড়ি।
জানা গেছে, প্রতিদিন বিকাল হলেই দেখা মেলে বহিরাগত অতিথি মাদক সেবনের জন্য এলাকায় আনাগোনা।
প্রায় ১০ বছর আগের একটি তালিকাকে পুঁজি করেই বিভিন্ন সংস্থা এসব অভিযান পরিচালনা করায় ১০ বছরে মাদক চোরাচালানে যুক্ত নতুন নতুন মাদক ব্যবসায়ীরা সবার চোখের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। আবার বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের নাম বাদ দিয়ে তালিকা মাঝে মাঝে হালনাগাদ করা হচ্ছে।
বড়খাতা দোলাপাড়া (জিগারঘাট) আমিনুরের ছেলে এনামুল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ৩টি, সারডুবি মতিয়ার রহমানের ছেলে মাসুম রানা (৩১) তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা, সারডুবির আতোয়ারের ছেলে রিপন তার রয়েছে ২টি, সিংগীমারী আব্দুল ওরফে পেড্ডার ছেলে
আাতোয়ার হোসেন ( ৪২) তার রযেছে ২ টি মামলা। সিংগীমারী ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম ৪টি, টংভাঙ্গার বাড়াইপাড়ার মৃতঃ আফসার আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম নজু তার রয়েছে ৬টি মামলা। এসব মাদক সম্রাট কোটি কোটি টাকার মাদক এনে দেশের ভেতরে পাচার করছে। এ তালিকায় থাকা অধিকাংশ মাদক সম্রাট কখনোই ধরা পড়েনি।
এবিষয়ে হাতীবান্ধা থানা অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় অভিযান চালিয়ে আসতেছি এবং শুধু জসিম কেন মাদকের সাথে যারা সংযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।