গঙ্গা হল পুণ্যদায়িনী, তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকলেই গঙ্গাস্নান করে থাকে পুণ্য লাভের আশায়। আবার বাঙ্গালির সমস্ত পুজাতে গঙ্গাজল, গঙ্গামাটি অবশ্যই প্রয়োজনীয়। বিশেষ বিশেষ তিথিতে যদি গঙ্গাস্নান করা যায় তাহলে অনেক পুণ্য সঞ্চয় করা যায়। চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুনী নামে পরিচিত। তিথিতে স্নান করলে বহুশত সূর্যগ্রহনের জন্য গঙ্গাস্নানে সেই ফল লাভ করা যায় এমনটাই বললেন গঙ্গাস্নান করতে আসা হিন্দু ধর্মালম্বী পুণ্যতীথিরা।
জৈন্তাপুর উপজেলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী বারুণী স্নান ৩০ মার্চ বুধবার সূর্যদয়ের পর হতে উপজেলার ৫নং ফতেপুর ইউপির হরিপুর ভাড়ার ডয়ার নামক স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট সদর, সিলেট শহরে বসবাসরত বিভিন্ন জেলার বাসিন্ধা সহ কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলা বিভিন্ন স্থান হতে দলে দলে গঙ্গাস্নান করেতে ও গঙ্গাপূজায় অংশ নেয় লক্ষাধীক হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। বারুণীর স্নানে পাপ মোচন, নিজেদের আশাপূরণ ও দেহ পবিত্র করতে ফুল, ফল, ডাব, কলা সহ চন্ডী পাঠের মাধ্যমে বিশ্বাসকে লালন ও ধারন করে বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও মহিলা বছরের এই সময়ে ভাড়ার ডয়ারে গঙ্গাস্নান করতে ছুটে আসেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থীদের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠে হরিপুর বাজার সহ ভাড়ার ডয়ার নামক তীর্থ স্থানে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পুলিন সরকার, শৈলেশ চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষ্ণ চরন দত্ত, রুপক চক্রবর্তী, শিমুল বিশ্বাস বলেন, চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে ভাড়ার ডয়ারে গঙ্গাস্নান করলে সব পাপ মোচন হয়ে যায় বলে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত রয়েছে। পাপ মুর্চন ও পূণ্য লাভের আশায় প্রতিবছরই বিভিন্ন উপজেলা হতে হাজারও মানুষ আসে ভাড়ার ডয়ারে পুণ্যতীর্থে গঙ্গাস্নান করতে। এই ডয়ারে গঙ্গাস্নান করাকে অনেকে গঙ্গাস্নানের সাথে সমতুল্য মনে করে।