
ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলায় প্রতিটি মাঠে ভরে গেছে সূর্যমুখী ফসলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রত্যেক মাঠে মাঠে সূর্যমুখী ব্যাপক ফলন হয়েছে কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানা যায়,
সূর্যমুখী চাষ বেশ লাভজনক ৫০ শতক জমির সূর্যমুখী থেকে তাদের সারা বছরের তৈলের জোগাড় হয়ে যায় পাশাপাশি সূর্যমুখী থেকে থেকে খৈল লাকড়ি ইত্যাদির ব্যবস্থা হয় সরকারি প্রজেক্টে একেক জন কৃষক ৫০ শতক করে জমি সূর্যমুখী জন্য বরাদ্দ, সকলে যদি আরো জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে তবে ফসলের ক্ষতি অনেক কম হয়।
এবং খরচ কমে যায় এক প্রশ্নের জবাবে কৃষক জনাব মতিউর রহমান সিকদার জানায় আমরা ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজ করি কিন্তু কৃষকের উন্নতি খুব কম কেননা বিষখালী নদীর পাড়ে বেরিবাঁধ না থাকায় ফসল তোলার আগেই ফসলের মাঠ পানিতে ডুবে যায় তাই অনেক কষ্ট করে অনেক খরচ করে কৃষি দিলেও আমরা সঠিক সময়ে ফসল করে তুলতে পারি না এবং আমরা ফসল সংরক্ষণ ও মূল্য পাইনা না তাই সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন যদি সরকার বিষখালী নদীতে বেরিবাঁধ দেন এবং সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় যদি আমাদের সঠিক সময়ে সার বীজ ও পরামর্শ দেন তাহলে আমরা শুধু উত্তরাঞ্চলে নয় ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় প্রতিটা মাঠে মাঠে কৃষির বিপ্লব ঘটিয়ে দেখিয়ে দিতে পারি যে আমরা অন্যান্য জেলার চেয়ে সফল কৃষক এবং আমাদের এলাকায় কোন কৃষক আর অভাবী থাকবে না।
বর্তমানে এক একটি কৃষি ক্ষেত যাহার আয়তন ১০০ বিগার মত কিন্তু রবিশস্য দেয়া হয় মাত্র ১০ বিঘা জায়গায়, অন্ততপক্ষে যদি ৬০-৭০ বিঘায় রবিশস্য দেয়া যেত তাহলে আর কোন কৃষকের অভাব থাকত না বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের ১ ইঞ্চি জমি ও যেন অনাবাদি পড়ে না থাকে সেখানে হাজার হাজার বিঘা জমি শুধু মাত্র বেরিবাদের জন্য অনাবাদি পড়ে আছে বর্তমান কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব এমাদুল হক মনির সূর্যমুখী সহ বিভিন্ন রবিশস্য মাঠ প্রদক্ষিণ করেন এবং তিনি আশ্বাস দেন সরকারের কাছে কৃষকদের দুঃখ কষ্ট তুলে ধরবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।