ঈদ সামনে রেখে চার দিনে বঙ্গবন্ধু সেতু পাড়ি দিয়েছে দেড় লাখের বেশি গাড়ি। আর এ থেকে টোল আদায় হয়েছে পৌনে ১২ কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় সেতু দিয়ে ১৫ থেকে ১৬ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। ঈদকে সামনে রেখে যানবাহন পারাপারের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়।
সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, এবার ঈদে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে মূলত বুধবার রাত ১২টা থেকে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ৯৬ ঘণ্টায় সেতু হয়ে ১লাখ ৫৩হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১১কোটি ৭০লাখ ২০হাজার ৭৫০ টাকা।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত এবার ঈদ মৌসুমে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়। ওই দিন ৪২ হাজার ১৯৯টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ৩কোটি ১৮লাখ ৮হাজার টাকা।
সবচেয়ে বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত। ওই সময়ে ৪৩ হাজার ২৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৩কোটি ১৪লাখ ৮৩হাজার ৪৫০ টাকা।
এ ছাড়া বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৭৩৪টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা।
সর্বশেষ গত শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা। গতকাল দুপুরের পর থেকে গাড়ির চাপ অনেক কমতে থাকে। আজ সোমবার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম যানবাহন পারাপার হয়েছে।
এবার ঈদ মৌসুমে বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল সেতু পারাপার হয়েছে, যা রেকর্ড। বুধবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৩৬০টি মোটর সাইকেলে সেতু পারাপার হয়। ওই ৭২ ঘণ্টায় পারাপার হওয়া মোট যানবাহনের ১৭ দশমিক ৯২ ভাগ মোটর সাইকেল। মোটর সাইকেলের জন্য এবার পৃথক দুটি লেন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বলেন, এবার ঈদে মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বেশি ছিল। সেতুর সব টোল বুক চালু রাখা হয়।