হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বৈরাচারমুক্ত ‘নতুন বাংলাদেশে’ সর্বত্র নীতি-আদর্শে এগিয়ে থাকা মানুষেরা নেতৃত্ব ও দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হবেন এমনটা প্রত্যাশিত হলেও বাস্তবে ঘটছে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় বড় পদ বাগিয়ে নিচ্ছেন স্বৈরাচারের দোসর ও ছাত্রহত্যায় ইন্ধনদাতারা। যাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে উসকানি ছাড়াও রয়েছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ।
লামা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়া ডাঃ শোভন দত্ত তেমনই একজন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শেখ হাসিনার পতনের আগে আওয়ামী লীগের মতোই ছাত্র-জনতার বিপক্ষে রাজপথে নেমেছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) চিকিৎসকরা। শান্তি সমাবেশ’ নামের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে ‘এক দফার কবর’ দিতে চেয়েছিলেন তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্ব পাওয়া ডাঃ শোভন দত্ত এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত ছিলেন।
কোটা সংস্কার ও পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হওয়া ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ রয়েছে স্বাচিপপন্থি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ডাঃ শোভন দত্তেরও।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ডাঃ শোভন দত্তকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই।
এমনকি গত ১০/৩/২৫ সোমবার বহিরাগতদের নিয়ে শোডাউন করে ডাঃ শোভন দত্ত লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মতামত ও অনুমোদনকে উপেক্ষা করে সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ দিলীপ কুমার দেবনাথ এর পত্র প্রেরণকে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ নাগরিকরা।
স্বাস্থ্য খাত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা, এখানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করা হয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময়ের একজন দুর্নীতিবাজ চিকিৎসককে। তিনি কীভাবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতিমুক্ত করবেন? আমরা চাই তাকে অপসারণ করা হোক, একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ এসেছে, সেগুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।