
রিদুয়ানুল বারী -সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।
দিবসটিকে ঘিরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংগঠন দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন। আজ থেকে ৮ বছর আগে ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল লাল বোট ডুবে সলিল সমাধি হয় ১৮ জন যাত্রীর। এদিন স্ট্রীমার থেকে লাল বোট হয়ে কূলে আসার সময় বকশিস বানিজ্যের কারনে পানিতে সময় নষ্ট করতে গিয়ে রাতের অন্ধকারে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে একটি লালবোট উল্টে যায়।
রাতের অন্ধকার আর উত্তাল সাগরের প্রমত্তা ঢেউয়ের সাথে লড়াই করে কিছু যাত্রী তীরে ওঠে আসতে পারলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনজন মেধাবী শিক্ষক সহ ১৮ জন যাত্রীর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। পরে পর্যায়ক্রমে একে একে এসকল হতভাগ্যের লাশ পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ সেদিন স্ট্রীমার থেকে তার হেড লাইট,জীবন রক্ষাকারী বয়া বা রশি ছেড়ে দিলেও অন্তত কিছু মানুষ বাঁচতে পারতো।কিন্তু অজানা কারণে সেদিন এ সহায়তা টুকু স্ট্রীমার থেকে পায়নি ভুক্তভোগীরা।
এঘটনার পর সন্দ্বীপসহ সমগ্র দেশে এবং প্রবাসে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করা হয়। এটিকে হত্যাকান্ড হিসেবে মামলা হলেও আজ পর্যন্ত সন্দ্বীপ বাসী দেখেনি এ মামলার কোনো অগ্রগতি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো পায়নি কোনো ক্ষতিপূরন।মানবতা কাঁদছে ঢুকরে ঢুকরে।আজো সন্দ্বীপ বাসী খুঁজে নিরাপদ নৌ-রুট। আজো সন্দ্বীপবাসীকে নিরাপদ নৌ- রুটের আন্দোলনের দায়ে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের মামলার হাজিরা দিতে হয়।
এখনো সন্দ্বীপবাসীর ভরসা সে লাল বোট!
এখনো প্রতিকূল আবহাওয়ার সুযোগে সিন্ডিকেট কে কাজে লাগাতে স্ট্রীমার থাকে না জ্বালানি সংকটের অজুহাতে।