
মোঃ মেহেদী হাসান,নিজস্ব প্রতিনিধি আমতলী বরগুনা
আমতলীতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মো. শামিম হাওলাদার।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় আমতলী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. শামিম হাওলাদার বলেন, গত ২৮/০২/২০২৪ইং তারিখ, মামলা নং-সিআর-১৭-২০২৪, (দ্রæত বিচার), (আমতলী থানার মামলা নং-০২, তাং-০২/০৩/২০২৪ইং) বরগুনা দ্রæত বিচার আদালতে আমার ভাইয়ের ছেলে (১) মোঃ শাহিন হাওলাদার, পিতাঃ মতিয়ার রহমান, (২) মাসুম মৃধা, পিং- সোলায়মান মৃধা, (৩) লিকন মৃধা, পিং- আলতাফ মৃধা, (৪) তোফাজ্জেল হোসেন, পিং- মতিয়ার রহমান, (৫) নাফিস হাওলাদার, পিং- সোহেল হাওলাদারগ্রাম সোনাখালীকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন একই এলাকার মোঃ সোহেল রানা-(৪০), সোহেল রানার দায়েরকৃত মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে আমতলী থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আমতলী থানায় এজাহার গ্রহণ করে মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তে সোহেল রানার দায়েরকৃত মামলার ঘটনার সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমানিত হয়। এতে সোহেল রানা ক্ষুব্ধ হয়ে মামলার সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আমার ভাইয়ের ছেলেসহ অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উক্ত সোহেল রানা এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির নামে বিভিন্ন সরকারি অফিস আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করেন এবং সোহেল রানার অত্যাচারে আমার পরিবার ও এলাকাবাসী চরম অতিস্ট হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য সোহেল রানার বড় ভাই মোঃ আবুল কালাম এর সাথে ২০১৬ইং সালের ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করে আমার ভাইয়ের ছেলে মোঃ শাহিন হাওলাদার বিজয়ী হয় এবং মামলার ২নং আসামী মোঃ মাসুম এর পিতা মোঃ সোলায়মান মৃধা ২০২১ইং সালের ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করে বিজয়ী হন।
২০১৬ইং সাল থেকে আমার এবং আমার ভাইয়ের ছেলে এবং পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ও ২০২১ইং সালে মোঃ সোলায়মান মৃধা বিজয়ী হওয়ার পর তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে অপদস্ত হয়রনী করার জন্য সোহেল রানা উঠে-পড়ে লেগে আছে। আমি ও আমার পরিবার উক্ত সোহেল রানার বিচার চাই। এ ঘটনায় আমি ও আমার পরিবার হয়রানীর থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের উচ্চ মহলের আশু-হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে মামলার বাদী সোহেল রানার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখোয়াত হোসেন তপু বলেন শামিম হাওলাদার সোহেল রানার বিরুদ্ধে হয়রানীর কোন অভিযোগ থানায় দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।