
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি
আমার থাকার মত কিছুই নাই, আমি কি দিয়া কি করমু, আমরা এখন কেমনে চলমু,আমি রাত পোহাইলেই খামু কি আমার যে কিছুই নাই, নিহতের স্ত্রী মমতা কেঁদে কেঁদে আজাহারিতে বলেন। ঠিক এমনি এক ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় জুয়েলারী দোকানের কর্মচারী নগর পালের মৃত্যুর ঘটনায় । ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকেলে জুয়েলারী তৈরির কারখানায়। নিহত হলেন টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার দক্ষিণ বেতডোবা এলাকার ষষ্ঠী পালের ছেলে। তিনি উপজেলার কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় মা কালি জুয়েলার্স এর নারায়ন সাহার কর্মচারী। তিনি ওই দোকানেই থাকতেন। ওই ঘটনায় নিহতের লাশ শ্মশান থেকে উদ্ধার করে সোমবার ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে কালিহাতি থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত নগর পাল দশ বছর ধরে নারায়ন সাহার মা কালি জুয়েলারী দোকানে স্বর্ণের কারীগর হিসেবে কাজ করে আসছেন। রোববার সকালে ওই জুয়েলারী দোকানে মালিকের সাথে নগর পালের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির তর্কের এক পর্যায়ে কর্মচারীর গায়ে হাত তুলেন জুয়েলারী মালিক নারায়ন সাহা। পরে দুপুরে উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় নারায়ন সাহার যে জুয়েলারী তৈরির কারখানা রয়েছে সেখানে নগর পাল কারখানার ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ।
রিদয় পাল জানান, আমার বাবা আত্মহত্যা করেনি, সকালে আমি তার সাথে কথা বলছি। আমার বাবাকে মার্ডার করা হয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার চাই।
রৌদ্র পাল জানান, আমার বাবার মৃত্যু অনেক রহস্য জনক এর সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতাবশালী নারায়ণ সাহার বিচার চাই।
নারায়ণ সাহার কর্মচারী জগদীশ ও বিষ্ণু জানান, দোকানে এসে নগর পালের সাথে বসের হাতাহাতি হয়। কারখানায় কি হয়েছে আমরা জানি না।
কালিয়াকৈর স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার কর্মকার জানান, নারায়ণ সাহা আমাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, ওনি যদি দোষ করে থাকে তাহলে আমরা সাংগঠনিক ভাবে তার শাস্তি দাবি করছি।
কালিহাতি থানার উপ পরিদর্শক মনসুর রহমান জানান, খবর পেয়ে শ্মশান থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার অপারেশন (ওসি) যোবায়ের জানান, ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।