
হোসেন আলী বিশ্বাস, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) বিশেষ প্রতিনিধি।
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ গ্রামে জন্মগ্রহণ করা কবি আব্দুল আলিম ইংরেজি সাহিত্যে ইসলামের সৌন্দর্য ও প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরার এক উজ্জ্বল প্রতিভা। তার প্রাথমিক শিক্ষা শাপলা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলে এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা আদিল উদ্দিন কলেজে সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে তিনি কাব্য চর্চায় মনোনিবেশ করেন। যদিও তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তবুও তিনি তার কবিতার মাধ্যমে ইংরেজি সাহিত্যে বিশেষ স্থান অধিকার করেছেন। তার কবিতা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ইংরেজি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, যা তার কাব্য প্রতিভার স্বীকৃতি প্রদান করেছে। কবি আব্দুল আলিমের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলোর মধ্যে “ইটারনাল কোয়েস্ট,” “ভিকটিম অব ইলেকট্রিসিটি,” “হু উইল বিউরি মি,” এবং “স্ট্যান্ড ফর জাস্টিস” বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার কবিতায় ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটে। তিনি ইসলামের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে লেখালেখি করেন। তার সাহিত্যে নির্যাতিতদের পক্ষে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ করা হয়, যা সমাজে সুবিচার ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। কর্মজীবনে কবি আব্দুল আলিম একজন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তার গবেষণা ও নিবন্ধগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং শিক্ষাবিদদের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে তার গবেষণা শিক্ষার্থীদের মানসিক উন্নয়ন ও শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। একজন ইংরেজি সাংবাদিক হিসেবেও কবি আব্দুল আলিম বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি শৈলকুপা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত আছেন। তার সাহসী সাংবাদিকতা ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদনের জন্য তিনি সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। সমাজের অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে তার সাহসী প্রতিবেদন আমাদের ন্যায়ের পথে চলতে উৎসাহিত করে। কবি আব্দুল আলিম তার সাহিত্য ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তার প্রতিভা, কর্মক্ষমতা ও সাহসিকতা আমাদের সমাজকে আলোকিত করে তুলেছে। তার লেখা ও গবেষণা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথের দিশা দেখাবে বলে আমরা আশা করি। তার সাহিত্যে ইসলামের সৌন্দর্য ও ন্যায়ের শিক্ষার প্রতিফলন সমাজের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।