
কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)নিজস্ব প্রতিনিধি
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বা’দ এশা ফরেস্ট অফিস থেকে শুরু করে কমলগঞ্জ থানা হয়ে ভানুগাছ বাজারে ভিন্ন রোড হয়ে মিছিল নিয়ে ভানুগাছ চৌমুহনী চত্ত্বরে শেষ করে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন ইসকন কর্তৃক মসজিদ ও আদালতের স্থাপনা ভাঙচুর এবং বিচারালয় প্রাঙ্গনে এডভোকেট শহীদ সাইফুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যাসহ ‘র’ এর ইশারায় দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং জঙ্গি ইসকন নিষিদ্ধ ঘোষনার দাবিতে ছাত্র এবং তাওহীদি জনতা কমলগঞ্জ এর আয়োজনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । মাওঃ সদরুল মাসুম এর সভাপতিত্ব করেন
বক্তব্য রাখেন মাওঃ হোসাইন আহমদ খালেদ. মাওঃ লুৎফর রহমান জাকারিয়া. মোঃ মিলাদ আলী. ইব্রাহিম আহমদ পাবেল. মাহী আহমদ. আব্দুস ছামাদ চৌধুরী লিমন বক্তৃতায় মাওঃ লুৎফর রহমান জাকারিয়া বলেন. আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে আমরা আমাদের হৃদয়ের ব্যথাটুকু জাতির সামনে, মানুষের বিবেকের সামনে উপস্থাপন করার জন্য এখানে সমবেত হয়েছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এটা আমাদের বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না যে আজকে সুপরিকল্পিত একটি সাম্প্রদায়িক উস্কাণীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর পায়তারা চালানো হচ্ছে। শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুধু বর্বর নয়, বরং একটি ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড। চট্রগ্রামে প্রকাশ্যে দিবালোকে আদালত চত্বরে সন্ত্রাসী সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সরকারি একজন তরুণ আইনজীবী কর্মকর্তাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে হত্যা করবে এইরকম বরবরতার দৃশ্য দেখার জন্য বাংলাদেশ মোটেও প্রস্তুত নয়।
মাওঃ হোসাইন আহমদ খালেদ বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, মানুষের এই ক্ষোভ, মানুষের হৃদয়ের এই রক্তক্ষরণকে আপনারা বুঝবার চেষ্টা করুন। যে সকল হত্যাকারীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকেই শুধুমাত্র বিচারের আওতায় আনলে চলবে না। এক্ষেত্রে আমাদের স্পষ্ট দাবি হলো, এই ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, সেই নেপথ্যের খুনিদেরকে বের করে তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করতে হবে। তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। শহীদ আলিফের হত্যাকান্ডে জড়িত ইসকনের স্পষ্ট মদদদাতা খুনি হাসিনাকে আসামি করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওঃ সদরুল ইসলাম মাসুম বলেন, আমরা বিগত ১৫ বছ দেখেছি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ প্রতিটি বিষয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত অসৌজন্যমূলকভাবে চরম নগ্ন হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগনকে কিভাবে আহত ও ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছে ভারত। আমরা ভারতরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতির তীব্র সমালোচনা করছি। ভারকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, বাংলাদেশের ব্যাপারে আপনারা নীতি পরিবর্তন করুন। অন্যথায় গোটা বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষ রাজপথে নেমে আসবে এবং ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবে।