
মতিউর রহমান শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি ধামরাই ঢাকা :
ঢাকার খুব কাছেই ধামরাই উপজেলা,।এখানে শহরের মত কোলাহল, জন মানুষের গ্যাঞ্জাম নেই। তাই কুরবানীর আয়োজন করা হয় গাছে নিচে বাড়ির উঠোনে, ঈদগাহের পাশের মাঠে। এখানে পশু কাটতে কোন কসাইয়ের প্রয়োজন হয় না। সমাজের মানুষেরা কাজগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে করে দেয়। বাহারঞ্চলে প্রতিটি কুরবানীতে কসাইদের লাখে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। এই অঞ্চলে এরকম প্রয়োজন পরেনা সবাই সামাজিক কাজ মনে করে মাংস তরী করে দেয়। ধামরাইতে কুরবানীর গরুর হাটে একটি বিশাল সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। প্রতিটি খামারি বা কৃষক অনেক কষ্ট করে গরু লালন পালন করে লাখ টাকার সম্পদে পরিণত করে। এই গরুগুলো যখন হাটে তোলা হয় তখন সেখানে কোন গবাদি পশু চিকিৎসক দেখা যায় না। এই সম্পদ গুলোর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি চিকিৎসক টিম প্রতিটি গবাদি পশুর হাটে রাখা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাই হোক ঢাকা শহরে এই সুযোগ সুবিধা থাকলেও গবাদি পশ কুরবানীতে অনেক কষ্ট করতে হয়। রাস্তার ধারে, বাড়ি ছাদ, গলিতে, বিভিন্ন চিপায় চাপায় কুরবানী করা হয়। পশুর বর্জ নিষ্কাশনেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ধামরাই উপজেলায় এই কষ্টগুলো পোহাতে হয় না। এই উপজেলার মানুষজন অত্যন্ত স্বজন প্রেমী। তারা একে অপরকে ভালোবাসে এবং সম্প্রীতির সাথে এই ঈদুল আযহা উৎসবটি পালন করে। ধামরাইতে কোথাও এই কুরবানীকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা শোনা যায়নি। ধামরাইয়ের মানুষ অতিথি পরায়ণ, গুরুজন ভক্ত, শিক্ষা অনুরাগী, সাংস্কৃতিক মনা, সরল স্বভাবের, প্রকৃতিপ্রেমী।তাই প্রতিটি উৎসব অনুষ্ঠানে একত্র মেতে উঠে এবং প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যায়।