
নাগেশ্বরী(কুড়িগ্রাম)বিশেষ প্রতিনিধি
২২ ফেব্রুয়ারি’ ২৫ (শনিবার) ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-এর সেনাপ্রাঙ্গনে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে ২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এটি ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের একাডেমিক যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
প্রোগ্রামে ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স, গ্রাজুয়েটেড শিক্ষার্থী ছাড়াও শতাধিক কর্পোরেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান,
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এনামুল বাশার। অতিথিরা গ্র্যাজুয়েটদের হাতে গোল্ড মেডেল, ডিন অ্যাওয়ার্ড ও আনুষ্ঠানিক ভাবে ডিগ্রি হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানের সমাবর্তন স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন আজম জে. চৌধুরি, চেয়ারম্যান ইস্ট কোস্ট গ্রুপ।
২১ ব্যাচের মোট ৩৫জন শিক্ষার্থীকে তাদের অসাধারণ একাডেমিক পারফর্ম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
সেসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আজ সবার একাডেমিক যাত্রার সমাপ্তি হচ্ছে, আর এখান থেকেই শুরু হবে সুস্থ সমাজ ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সবার নতুন যাত্রা। সবাই সততা ও দায়িত্ববোধের সাথে তোমাদের জ্ঞান প্রয়োগ করবে এবং বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি।”
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এনামুল বাশার বলেন, “শিক্ষার্থীদের এমন ডেডিকেশন ও ডিটারমিনেশন সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি আশা করি আগামীর পথচলায় সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখবে।”
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, “আজকের গ্র্যাজুয়েটদের সাফল্য তাদের প্রতিভা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বিকাশে ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন স্বরুপ। ভবিষ্যতে তারা আরও সাফল্য অর্জন করবে এবং সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম তাঁর বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন।
এছাড়া, বোর্ড অফ ট্রাস্টি (বিওটি) এর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হক শুহান তাঁর বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের সাফল্য কামনা করেন এবং দেশ গঠনে উৎসাহিত করেন।