লামা(বান্দরবান) বিশেষ প্রতিনিধি
বান্দরবানের লামা উপজেলার ৭নং ফাইতং ইউনিয়নের মাহাবুবর রহমান নামের এক প্রতারক ভূমি মালিকের বিরুদ্ধে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী দুই পরিবারের লোকজন। সোমবার (৩ জুন) বিকেল ৫টায় ফাইতং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় বিরোধীয় ভূমিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন প্রতারক ভূমি মালিক মাহাবুবুর রহমান এর বিরুদ্ধে জমি ক্রেতা শামশুল আলমের ছেলে মোঃ আকতার হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং অপর ক্রেতা মাশুক আহামদ এর ছেলে মোঃ ফোরকান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ আকতার হোসেন বলেন, লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের মৃত হাজী আবদু জলিলের পুত্র মাহাবুবর রহমান লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৩০৬ নং ফাইতং মৌজার ২৮ নং খতিয়ানের ২ একর ৮০ শতক জমির মালিক। উক্ত খতিয়ানের সম্পূর্ণ জমি একই এলাকার আহমদ হোছনের ছেলে মাশুক আহমদ ও ছালামত আলীর পুত্র সামশুল আলমের নিকট ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে গত ৫ অক্টোবর ১৯৯৪ সালে বায়নানামা দলিল মূলে বিক্রি করেন। যার দলিল নং- ৬১৫/১৯৯৪। বিক্রির পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে বিক্রেতা নামজারি করে দিতে তালবাহানা করে।
এই নিয়ে উভয় পক্ষ আদালতে মামলা করে যা এখনো চলমান রয়েছে। কিন্তু মাহাবুবুর রহমান এই ফাঁকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উক্ত রেজিস্ট্রেশন আজ দেবে কাল দেবে বলে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করে আসছে। এই অবস্থায় গোপনে মাহাবুবুর রহমান তার স্ত্রী শাহানারা বেগম, পুত্র মোঃ রিয়াজ উদ্দীন ও মোঃ হোচন এর পুত্র আহামদ উল্লাহর নিকট একই খতিয়ান থেকে ২ একর ৩০ শতক জমি বায়না নামা মূলে বিক্রি করেন। যার দলিল নং- ১৩৪৬/২০০৯।
অপরদিকে এই মালিক এলাকার মৃত হাজী ইসলামের পুত্র হাফেজ মোঃ জাহিদুলের কাছে উক্ত খতিয়ান থেকে গত ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ২০ শতক (যার দলিল নং ৪৩১/২০১৮), ২০২২ সালে শহিদুল্লাহ মিন্টুর নামে ৩৯ শতক (যাহার দলিল নং-৩১৪/২২), জাহেদুল ইসলামের কাছে ২০২২ সালে ৫৪ শতক (যা বায়নানামা দলিল নং ৮৬/২২), আবুল কাশেম ৬ শতক (যা বায়নানামা দলিল নং- ৩১৩/২২) এবং জাফর আলম নামে ২ দুই একর ১০ শতক (যাহার বায়নানামা দলিল নং- ৬২৭/২২) প্রদান করেন।
মাহাবুবুর রহমানের প্রতারণা ও সটামির সংবাদ পেয়ে ক্রেতা মাশুক আহমদ ও সামশুল আলম গং লামা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- সিআর ২২৪/২২ইং। এদিকে বছরের পর বছর রেজিস্ট্রেশন না পেয়ে আদালতে ঘুরতে ঘুরতে জমি গ্রহীতা মাশুক আহমদ ও সামশুল আলম অবশেষে মারা যান। গত ৩০ বছর থেকে এই বিরোধ চলে আসছে এবং দুইটি পরিবারের মানুষ আইনি বেড়াজালে পিষ্ঠ হয়ে অসহায় দিন যাপন করছে। ভুক্তভোগী পরিবারের ছেলে/মেয়েরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রতারক মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করেন।