বাড়িবিশ্ববিদ্যালয়জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়এটা সুইসাইড না মার্ডার লিখে ফেসবুক পোস্টের পর জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

এটা সুইসাইড না মার্ডার লিখে ফেসবুক পোস্টের পর জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

মো.জহিরুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি;

সুইসাইড এর জন্য দুইজনকে অভিযুক্ত করে ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার পর আত্মহত্যা করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফাইরুজ অবন্তিকা নামের এক শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টায় টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।

আত্মহত্যার আগে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তার সহপাঠী আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের  শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী এবং বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম কে তার মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করে গিয়েছেন।

আত্মহত্যার ঘন্টাখানেক আগে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন আমি যদি সুইসাইড করে মারা যায় তাহলে আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী এবং তার সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অনলাইনে অফলাইনের থ্রেটের উপর রাখতো সেই বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হয় নাই । দ্বীন ইসলাম আমাকে নানা ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার হাতের ময়লা মত ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোন জাস্টিস পাবো না কারণ দ্বীন ইসলামের মত অনেক চামচা ওর পাশে দাঁড়াবে।

এছাড়াও ফেসবুক পোস্টে তিনি আরো লিখেন এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।

এ বিষয়ে আম্মান সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে উনার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করিনি৷ এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোন জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments