সোমবার (১৭ মার্চ) বিকাল তিনটার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামু উপজেলার পানেরছড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনায় ঘটে। এতে নিহত মো. রায়হান (২৫) উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
এ দূর্ঘটনায় বাস ও সিএনজির আরও চারজন যাত্রী গুরুত্বর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার একটি দল খবর পেয়ে দূর্ঘটনাস্থলে যান এবং আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
জানা গেছে, নিহত রায়হান উখিয়া উপজেলার কোটবাজার স্টেশনে মোবাইল ফোন বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের মালিক।
তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী এ ঘটনায় যুবক মো. রায়হানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন- এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই দিন ইফতারের পর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার শহরের কলাতলির ওশান প্যারাডাইজ হোটেলের সামনের প্রধান সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইমাম আহমেদ নামে আরেক জন নিহত হয়।
নিহত ইমাম আহমেদ তারকা মানের হোটেল ওশান প্যারাডাইজের নিরাপত্তাকর্মী।
জানা যায় ইফতার শেষে মাগরিবের নামাজে যাওয়ার জন্য রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইমাম আহমেদ নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী বরাত ও সিসি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, রাস্তা পারাপারের জন্য ইয়াম প্রথমে ফুটপাতে কিছুক্ষণ দাঁড়ায়। পরে রাস্তা পারা হতে গেলে কলাতলি থেকে দুটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে প্রায় ১০ গজ দূরে গিয়ে পড়ে ইমাম। পরে সেখান থেকে ওশান প্যারাডাইজের অন্য সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
হোটেল ওশান প্যারাডাইজের পাবলিক রিলেশনশিপ অফিসার সাঈদ আলমগীর বলেন, ইফতারের পর নামাজের জন্য বের হয় ইয়াম আহমেদ। পরে সড়কে দুর্ঘটনার বিকট শব্দে হোটেলের অন্য কর্মীরা দৌঁড়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমামকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
ইমাম আহমেদের বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ওশান প্যারাডাইজের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিয়োজিত আছেন।