
আবু সালেহ মোঃ হামিদুল্লাহ ,কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) নিজস্ব প্রতিনিধি।
কটিয়াদী উপজেলার কামারকোনা গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের মো. কাদির মিয়ার ছেলে মাদকাসক্ত মোঃ সেলিম মিয়া বয়োজ্যেষ্ঠ মায়ের নিকট দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক সেবনের টাকার জন্য মায়ের উপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে। অভিযুক্তের মা টাকা দিতে না পারায় তার উপর অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তার হাত ও পা ভেঙ্গে দেয়।
এই অমানবিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে ভিকটিমের মা কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মাদকাসক্ত সন্তানের উপযুক্ত বিচারের দাবির জন্য শরণাপন্ন হন। অভিযুক্ত সেলিম মিয়ার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়ের নির্দেশে উপজেলার সম্মানিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট জনাব লাবণী আক্তার তারানা মহোদয় ও উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দিদারুল আলম রাসেলের নেতৃত্বে ভ্র্যাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত সেলিম মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে মায়ের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে মাদকাসক্ত সেলিম মিয়া। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব লাবণী আক্তার তারানা মহোদয় আইন অনুযায়ী তাকে ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন ।
উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মাদকাসক্ত সেলিম মিয়া মায়ের কাছে মাদক সেবনের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে মা টাকা দিতে না পারায় আকর্ষিক ভাবে মায়ের উপর
হামলা চালিয়ে মারধর করে এতে মায়ের এক হাত ও এক পা ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার হাত ও পায়ে প্লাস্টার করে দেয়।
মাদকাসক্ত সেলিমের মা মোছা. হাজেরা আক্তার জানান, তার এক ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে সেলিম তৃতীয় সন্তান। সেলিম দীর্ঘদিন ধরে মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পরে। নেশার টাকার জন্য প্রায়ই আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। এমনকি টাকা দিতে না পারলে প্রতিনিয়ত আমাকে মারধরের মতো জঘন্যতম কর্মকাণ্ড ঘটাতেও দ্বিধাবোধ করতো না। অবশেষে আমি বাধ্য হয়েই আইনের সহায়তা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শরণাপন্ন হই। ভূক্তভুগী এই নির্যাতিত মায়ের ন্যায় বিচারের প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক যে আইনের ভূমিকা পালন করেছেন এতে ঐ নির্যাতিত মা সহ এলাকাবাসীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে আছেন কটিয়াদী উপজেলা প্রশাসনের বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ।