
আবু সালেহ মোঃ হামিদুল্লাহ,কটিয়াদী কিশোরগঞ্জ নিজস্ব প্রতিনিধি।।
গত ৬ জানুয়ারি (সোমবার) কটিয়াদীতে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের সাথে জড়িত সিএনজি চালক ইয়াসিন মিয়া (৪০) পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর সময় পুলিশের মারধরের কারণে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর কটিয়াদী মডেল থানার এক এসআই সহ ওপর তিন সদস্যকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। ওই ঘটনার সাথে জড়িত কর্মকর্তারা হলেন, এসআই মোহাম্মদ কামাল হোসেন, এএসআই মোঃ নাহিদ হাসান, এএসআই মোঃ মোস্তুফা মিয়া এবং কনস্টেবল মোঃ আশরাফুল ইসলাম। গত সোমবার সন্ধ্যায় জালালপুর ইউনিয়নের চর-ঝাকালিয়া গ্রামের মাদকসম্রাট লিটন মিয়ার বাড়িতে কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশের ৪ সদস্যের একটি টিম অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ওই বাড়িতে লিটন সহ অন্যান্য সাংগোপাঙ্গরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সিএনজি চালক ইয়াসিন দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। পরবর্তীতে ইয়াসিনের স্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ তুলেছে পুলিশ সদস্যরা তাকে পরিকল্পিতভাবে মারধর করে হত্যা করেছে।
ওই রাতে ইয়াসিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে পরের দিন রাতে ইয়াসিনের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইয়াসিনের পরিবারের ভাষ্যমতে এই হত্যার সাথে পুলিশ সদস্যরা জড়িত। তাদের সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন জানান, ইয়াসিনের মৃত্যুর ঘটনায় কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কটিয়াদী থানার অভিযুক্ত এক এসআই সহ অন্য তিন সদস্যকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।