
আবু সালেহ মোঃ হামিদুল্লাহ ,কটিয়াদী(কিশোরগঞ্জ)নিজস্ব প্রতিনিধি।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের পূর্বচর পাড়াতলা গ্রাম প্রায় বেশ কয়েকমাস মাস ধরে প্রশাসনের রহস্যজনক নিরব ভূমিকায় তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। জমির টপসয়েল ও ঊর্বর মাটি কেটে নেওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও চারপাশের পরিবেশ। স্থানীয়দের অভিযোগ ট্রাকের পর ট্রাক ও ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার উৎসব চললেও নিরব রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয়রা মনে করছেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ এলাকায় সরব রয়েছে অপরাধী চক্র।
নদীর কাছাকাছি জমি হওয়ায় বর্ষাকালে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। প্রতিবছরেই এ এলাকায় নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় অনেক পরিবারকে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে শুরু হওয়া মাটি কাটার উৎসব যেনো থামছেই না। ক্ষমতার হাত বদলের সাথে সাথে অপরাধী চক্রের লোকজনের রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে নতুনরুপে। এদের অবৈধ কাজ বন্ধ করার যেনো কেউ নেই। সারা দেশে যখন মাটি কাটা নিয়ে হার্ডলাইনে রয়েছে সরকার সেখানে এ অঞ্চলে চলছে ম্যানেজ করে অপরাধী চক্রের মাটি কাটার উৎসব।
কৃষকদের অভিযোগ শুনার যেনো কেউ নেই। কৃষিজমি সংলগ্ন স্থান থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে চলছে রমরমা ব্যবসা।
মাটি কেটে বড় বড় গর্ত করায় পাশের ফসলি জমিগুলো ভেঙে গর্তের মধ্যে বিলীন হওয়ার পথে। মাটি পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রতিদিন বিশ থেকে পঁচিশটি ট্রাক্টর। নিয়মিত মাটি পরিবহণের কারনে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত রাস্তাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। বাসিন্দাদের মতোই এ এলাকায় একটি কলেজ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও পড়েছেন চরম বিপাকে। ট্রাক্টরের প্রচন্ড আওয়াজে বিঘ্ন হচ্ছে লেখাপড়া সেইসাথে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। বর্তমানে রাজনৈতিক সরকার না থাকলেও একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে বেশকিছু কুচক্রীমহল করছে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।স্থানীয় কয়েকজন সংবাদ কর্মী মাটি কাটার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কটিয়াদী থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে মাটিকাটা অঞ্চল পরিদর্শন করতে যায়।
সরেজমিনে মাটিকাটার বিষয়টি পুলিশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে ঘটনাস্থলে রেখেই চলে আসে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ প্রশাসনের লোকজন প্রভাবশালী মহলের দ্বারা ম্যানেজ হয়ে নিরব ভূমিকা পালন করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো ভূমিকা তো রাখেননি বরং একজন কনস্টেবল অফিসার ইনচার্জের সামনেই সংবাদকর্মীকে অপদস্থ করেন। এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। সংবাদকর্মীরা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।