
আহসান হাবিব তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়)বিশেষ প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তিনদিন পর তাপমাত্রার পারদ নামলো ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হাড়কাঁপা শীতে কাঁপছে উত্তরের এই সীমান্তবর্তী হিমাঞ্চল উপজেলা। শীত দূর্ভোগে নেমেছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে হতদরিদ্ররা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার অফিস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আজ ভোরে কুয়াশা ভেদ করে দেখা গেছে ভোরের সূর্য। বেলা বাড়তে থাকলেও সূর্যের আলোয় তেমন উষ্ণতা মিলছে না। হিমেল হাওয়ায় অনুভূত হচ্ছে শীত। শীত বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানে বেশ ভিড় বেড়েছে। এছাড়াও শীত নিবারনের জন্য বেশ কিছু এলাকায় পুরনো কাপড়, কাগজ ও খড়কুটো জ্বালাতে দেখা যায় নিম্ন আয়ের মানুষদের। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে।
সকালে আজিজ, সালামসহ কয়েকজন ভ্যানচালক জানান, শীত বাড়ছেই। প্রকট ঠান্ডার কারণে ভ্যান চালানোও কষ্টকর হয়ে উঠে। হাত পা অবশ হয়ে আসে। আর শীতের কারণে ভ্যানে সহজে কেউ চড়তে চান না। যার কারণে আগের থেকে ইনকাম কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে অসচ্ছল অবস্থায় দিনাতিপাত করছি।
একই কথা বলেন দিনমজুর ও পাথর শ্রমিকরা। তারা জানান, ভোর-সকালে কনকনে শীতের কারণে কাজ করতে গিয়ে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছি। কিন্তু কি করবো, কাজ তো করতে হবে। তাই উপায় না পেয়ে কাজে যেতে হচ্ছে।
এদিকে এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে তেমন শীতবস্ত্র বিতরণের খবর পাওয়া যায়নি। ফুটপাতে শীতের গরম কাপড় উঠলেও চড়া দামের কারণে কিনতে পারছেন না অনেকেই।
শীতের কারণে বেড়ে চলে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জ্বর, সর্দি, কাঁশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে জেলার হাসপাতালগুলোতে ভিড় দেখা যায় রোগীদের। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, গতদিনের চেয়ে আজ তাপমাত্রা কমেছে। কুয়াশা থাকলেও দেখা গেছে সূর্য। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা উঠানামা করছে। সামনে তাপমাত্রা কমবে।