
সোহেল রানা,কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ
উজানের ঢল ও টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি কমায় ভোগান্তিতে পড়ছে বানভাসি মানুষ। এদিকে পানি উঠায় জেলার ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
জানা গেছে, গত রাত থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। উপজেলার মানুষ ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করলেও লালমনিরহাট সদর উপজেলা ও আদিতমারী উপজেলার কিছু বানভাসি মানুষ এখনো ঘরবাড়িতে ফিরতে পারেনি। বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বন্যার কারণে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১১টি এবং আদিতমারী উপজেলার ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
তিস্তা বাড়ির বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, গত তিনদিন ধরে ঘর দুয়ারে পানি ছিল তা কমে গিয়েছে । বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙে যায় চলাফেরা নিয়ে খুবই কষ্টে পড়েছি। সরকারিভাবে কোন সহযোগিতা এখনো পায়নি।
ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, গত দুইদিন থেকে তিস্তা পানি বৃদ্ধি পেয়ে অত্র ইউনিয়নের ঘরবাড়ি ডুবে গিয়েছিল। বর্তমানে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। অত্র ইউনিয়নের জন্য সরকারিভাবে পাঁচ টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি, তা বিতরণ চলছে।
ডালিয়া পাউবোর উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, উজানের ঢল আর বর্ষণে তিস্তায় পানির প্রবাহ বেড়েছিল। তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও বর্তমানে কমতে শুরু করেছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রাখি হাওলাদার বলেন, বন্যা কবলিত মানুষদের ১৩ লক্ষ টাকা ও ৯০ টন জিআর চাল বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ শুরু হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।