বাড়িবাংলাদেশেচট্টগ্রাম বিভাগকসবায় কালবেলা সাংবাদিকের ওপর হামলা, মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুরের অভিযোগ

কসবায় কালবেলা সাংবাদিকের ওপর হামলা, মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুরের অভিযোগ

কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)নিজস্ব প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা করে মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর বাজার নিজাম মার্কেটের খালী জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত লিয়াকত মাসুদ দৈনিক কালবেলার কসবা উপজেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি এবং উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত মুর্শিদ খানের ছেলে।
হামলাকারীরা হলেন- উপজেলার গোপীনাথপুর মাস্টার পাড়া খাবার মোড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে দ্বীন ইসলাম, হাজী আব্দুল ছাত্তারের ছেলে জহির খান সর্দার এবং হোসেন মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লিয়াকত মাসুদ।
জানা যায়, লিয়াকত মাসুদ পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে দ্বীন ইসলাম, হোসেন মিয়া ও জহির খান সর্দার তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। লিয়াকত মাসুদের সাংবাদিকতার কার্ড গলা থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ক্যামেরা ও মোবাইল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। মারধর করার জন্য তেড়ে আসে। সাংবাদিকতার কার্ড গলা থেকে খুলে জায়গা ত্যাগ করার হুমকী দেয়। প্রতিবাদ করলে লিয়াকত মাসুদের ওপর তারা আক্রমণ করে হত্যার চেষ্টা করে। 
প্রত্যক্ষদর্শী বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের মোঃ নুরুল্লা ভূইয়া বলেন, “আমি আমার বোনের শশুড়-শাশুড়ী, ননদ এর বিষয়ে কসবা থানায় অভিযোগ দিলে দ্বীন ইসলাম বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে গোপীনাথপুরে একটি সভার আয়োজন করে। আমার বোনকে দ্বীন ইসলামের শালার নিকট প্রতারনা ও মিথ্যা কথা বলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করায়। দ্বীন ইসলামের শালা হোসাইন মাদক দ্রব্য সেবনকারী, বর্তমানে প্রবাসে আছে। দ্বীন ইসলাম ও তার পক্ষের লোকজনের কথার প্রতিবাদ করা মাত্র সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদ এর বুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদের মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, “ওর সাথে যে কথা কাটাকাটি হইছে, ব্যাগটি হাতে নিয়ে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ওনার কাছে ক্ষমা চেয়ে বুক মিলিয়ে দেয়া হইছে। ভাংচুরের যে বিষয়টা এটা মিথ্যা কথা বলছে। বিবাহের বিষয় নিয়ে পারিবারিকভাবে মিটিং এ সর্দার মাতব্বর যারা উপস্থিত ছিল তারা কথাবার্তা বলছে। এটার ফিনিশিং তারা দিবে, কথাবার্তা বলবে।”
 কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, “কালবেলার সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments