বাড়িরাজশাহী বিভাগনওগাঁ জেলানওগাঁ সাব- রেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের আকস্মিক অভিযান

নওগাঁ সাব- রেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের আকস্মিক অভিযান

“কাজী স্বাধীন ” নিজস্ব প্রতিনিধি নওগাঁ-
দলিল রেজিস্ট্রেশন ও নকল উত্তোলনের কাজে হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগে নওগাঁ জেলা রেজিস্ট্রার ও সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুরে দুদকের সমন্বিত কার্যালয় নওগাঁর এই অভিযানে সেবা প্রার্থীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।  অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তারা দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ও সরকারি ফি আদায়ের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। এ সময় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ তাদের অভিযোগ ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।  
ধামইরহাট উপজেলা থেকে আসা আব্দুস সালাম বলেন, এই অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এমনকি ফাইল নড়ানোর জন্যও অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়। দুদকের এই অভিযান স্বাগত জানিয়ে তিনি নিয়মিত এ ধরনের তদারকির দাবি জানান। নওগাঁ শহরের আইয়ুব হোসেন অভিযোগ করেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের মূল্য নির্ধারণে স্বচ্ছতা নেই। সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয় বলে তিনি দাবি করেন। নওগাঁ সদর সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, দুদক কর্মকর্তারা দালালদের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন। তিনি দাবি করেন, সরকারি ফির বাইরে কোনো অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই।  
দুদকের উপসহকারী পরিচালক মেহেবুবা খাতুন রিতা জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ শেষে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হবে।  সচেতন মহল মনে করে, শুধু রেজিস্ট্রেশন অফিস নয়, সকল সরকারি দপ্তরে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। এতে দুর্নীতি কমে সাধারণ মানুষ সেবা পাবে সহজভাবে। দুদকের এই অভিযান স্থানীয় পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাধারন মানুষ আরো বলেন আমরা দলিল করতে এলে তারা মুহুরিরা অনেক হিসাব নিকাশ দেখিয়ে সরকারী ফির কোন তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মতো টাকা আদায় করে নেয় আমাদের কে জিম্মি করে, এতে সাব- রেজিস্ট্রার জরিত বলে তারা জানান। তারা বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে সাধারন মানুষের পকের কাটছে বহুদিন থেকে মাঝে মাঝে একটু অভিযান চলে পর আবার যেই লাও সেই কদু। বেশ কিছু দিন আগে এক ক্রেতা নওগাঁ সদরের বোয়ালিয়া মৌজার ১০ শতক জমি রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তার কাছ থেকে দলিল খরচা বাবদ ৮৮ হাজার টাকা নিয়েছে। হিসাব করলে দেখা যায় জমির চেয়ে দলিল খরচাই বেশী। সাধারন মাসুষে গনদাবী এটার তারা সরকারী ফি ছারা কোন টাকা দিতে যেন না হয় সেই ব্যপারে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান। আর যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকে  কঠিন থেকে কঠিন তম শাস্তির আওতায় আনা হোক। 
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments