
মোঃমোজাম্মেল হোসেন , কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাপাসিয়ার বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী
ইমতিয়াজের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তার সহপাঠী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও
অভিভাবকেরা। প্রায় তিন শতাধিক পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে কলেজের সামনে
অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সন্ত্রাসী মাহিনের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি দাবি করেন বক্তারা। এ বিষয়ে গত শুক্রবার ইমতিয়াজের পিতা মোঃ
ইমামউদ্দিন বাদি হয়ে মাহিনের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা
করেছেন। ইমতিয়াজের পিতা মোঃ ইমামউদ্দিন জানান,আসন্ন এসএসপি পরীক্ষার জন্য নিয়মিত কোচিং ক্লাশসহ পড়ালেখায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তার ছেলে
মেধাবী শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ (১৬)। গত বুধবার স্কুল শেষে ইমতিয়াজ বাড়ি ফিরলে প্রতিবেশি বন্ধু লিমন হোসেন তার বাড়িতে আসে। এ সময় লিমনের সাথে একটি মেয়ের এডিট করা ছবি পার্শ্ববর্তী গ্রামের মাহিন হোসেন (১৯) নামে এক সন্ত্রাসী যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় বলে সে দাবি করে । পরে তারা
কয়েক বন্ধু একসাথে মাহিনের বাড়িতে গিয়ে এর কারণ জানতে চাইলে উভয়
পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে গত শুক্রবার সকালে মাহিনের
বাড়ির পাশ দিয়ে ফুফুর বাড়ি যাওয়ার সময় ইমতিয়াজের উপর আক্রমণ করে
এবং তার পেটে ধারালো ছুুরি দিয়ে উপর্যুপোরি আঘাত করে। এ সময় তার
ডাক চিৎকারে আশপাশের লোাকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মুমূর্ষু অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ সময়
তার স্বজনরা তাকে সেখানে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে
ভর্তি করা হলে ছুরির আঘাতে ক্ষত বিক্ষত তার পিত্তথলিটি চিকিৎসকগণ
অপারেশন করে ফেলে দেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন
রয়েছেন। ইমতিয়াজ আহমেদ উপজেলার বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসায়
শিক্ষা বিভাগ থেকে আগামী ১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় ইমতিয়াজ পরীক্ষায় অংশগহণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান,ইমতিয়াজের উপর এরকম বর্বর আক্রমণের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও
বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে হবে কেন? থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার
তিনদিন পার হয়ে গেলেও এখনো সন্ত্রাসী মাহিনকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা তা নিয়ে তিান বিস্ময় ও ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে
গত শুক্রবার একটি মামলা হয়েছে এবং আসামী মাহিন খবর পেয়ে পালিয়ে
গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।