
স্বপন সরকার কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর শিল্পকারখানার রাসায়নিক পদার্থ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা ও বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনাসহ প্রায় সব ধরনের বর্জ্য ফেলায় দূষিত হচ্ছে বিনােদন কেন্দ্র নন্দন পার্ক । এসব দূষিত বর্জ্যের পানির দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ দর্শনার্থীরা। এত বন্ধ হওয়ার উপক্রম বিনােদন নন্দন পার্ক। শুক্রবার সকালে উপজেলা বাড়ইপাড়া নন্দন পার্ক ঘুরে এমনি চিত্র দেখা যায়।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে,২০০৩ সালে কালিয়াকৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী বাড়ইপাড়া এলাকায় গড়ে উঠেছে বিনােদন নন্দন পার্ক।পার্কের ভেতরে রয়েছে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষের বিনােদনমূলক ব্যবস্থা। ভেতরে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি পুকুর, পুকুরে রয়েছে বড় বড় মাছ, দর্শনার্থীদের জন্য স্পিডবাের্ড,নৌকা সহ নানা রকম রাইট। পার্কের আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য শিল্পকলকারখানা,ঘরবাড়িসহ নানান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যও দূষিত পানি নন্দন পার্কের পাশ দিয়ে ড্রেনজ দিয়ে চলে যেত নদীতে। কিছু দিন ধরে পার্কের আশপাশে ফাঁকা জমিতে গড়ে উঠেছে কারখানা, ঘরবাড়িসহ নানা প্রতিষ্ঠান।এসব প্রতিষ্ঠানের কারণ ড্রেনজ মুখ ভরাট হয়ে যায়। ফলে দূষিত, দুর্গন্ধ পানি নন্দন পার্কের ভিতর পুকুরে চলে যায়। এতে পুকুরের মাছ মারা যাওয়াসহ বর্জ্য পানির দুর্গন্ধ অতিষ্ঠ দর্শনার্থীরা।তবে দুর্গন্ধ পানি নিষ্কাশন বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর দুটি আবেদন দিয়েছেন নন্দন পার্কের কর্তৃপক্ষ।
দর্শনার্থী জলিল,মােতালেব জানান,পরিবার নিয়ে একটু ঘুরতে আসছি নন্দন পার্কে। পুকুরের দুর্গন্ধ পানির কারণ এখানে থাকা যায় না। তাই চলে যাচ্ছি।
নন্দন পার্কের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম বলেন , কয়েকদিন ধরে আশেপাশের কারখানা,বাড়িঘর হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনজ মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুর্গন্ধ পানি পার্কের ভিতর পুকুর চলে আসায় দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। দ্রুত এর ব্যবস্থা না করিলে অচিরই পার্ক বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সরকার রাজস্ব হারাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে মালিক কর্মচারী।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ জানান, একটি অভিযােগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।