সঞ্জয় চন্দ্র দাস, কুমিল্লা নিজস্ব প্রতিনিধি।

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ মধ্যযুগীয় কায়দায় এক যুবককে লাঠি দিয়ে পিটানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হামলাকারীরা তাৎক্ষণিক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াই জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ স্কুলের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার আহত ওই যুবকের বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় মামলা করেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার সময় ইলিয়টগঞ্জ এলাকার এক লোকের বাড়িতে কিছু চোর প্রবেশ করে মোবাইল চুরি করে। এ ঘটনায় যারা যারা জড়িত তাদের নাম আহত ওই যুবক বলে দেয়াই দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ টামটা এলাকার বাদল খানের ছেলে রিফাত (২১) এর নেতৃত্বে ফরহাদ, সাইদ, সাকিব, রিয়াদসহ ১০-১২ জন যুবককে মহিউদ্দিনকে লাঠি দিয়ে ইলিয়টগঞ্জ রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ স্কুলের পেছনে তাকে বাড়ি যাওয়ার পথে লাঠি দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিওতে দেখা গেছে। পরে ভুক্তভোগীকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরীপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। (শুক্রবার) সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ওই যুবক ইলিয়টগঞ্জ মোবারকপুর এলাকার মৃত সহিদ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২৪)।

নির্যাতনের সময় স্থানীয় অনেকেই উপস্থিত থাকলেও কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করেননি। ততক্ষণে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভিডিওটি প্রশাসনের নজরে আসলে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান পুলিশ।

এ ব্যাপারে স্থানীয়দের দাবি, অপরাধ করলে দেশে আইন আছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। আমরা তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখে আমরা ভয়ে কেউ কাছে যেতে পারিনি।

ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এটি অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। আহত মহিউদ্দিনের ভাই গিয়াস উদ্দিন একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলায় রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আহত যুবকের বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন হৃদয় বলেন, আমার ভাই অপরাধ করলে দেশে আইন আছে শাস্তি দিবে। তা না করে কিশোরগ্যাং রিফাতের নেতৃত্বে এলাকার আরও কিছু কিশোরগ্যাং মিলে আমার ভাইকে হামলা করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলো। আমি আমার ভাইয়ের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার সার্কেল এএসপি সোয়েব জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। ভিডিওতে যাদের হামলা করতে দেখেছি তাদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান চলছে।