
রৌমারী(কূড়িগ্রাম)নিজস্ব প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম চর উন্নয়ন কমিটি কুডিগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু ও সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম রুবেল কতৃক রৌমারী উপজেলা চর উনয়ন কমিটির আংশিক আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয়। ইমান আলী ইমনকে আহবায়ক কমিটির প্রধান মাস্তাফিজুর রহমান তারাকে সদস্য সচিব ও যুগ আহবায়ক হিসাবে মঞ্জুরুল ইসলাম ,আবুল কালাম আজাদ, মশিউর রহমান পলাশ,ও মিজানুর রহমান মিনুসহ ৬ সদস্য বিশিষ্ট্য আংশিক কমিটি প্রদান করেন। উক্ত কমিটিকে মালা দিয়ে বরণ করেন চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। বরণ শেষে কমিটির সদস্যরা বক্তব্যে বলেন,
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) তথ্যমতে, জেলায় দারিদ্র্যর হার ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) বলেছে,জেলায় অতি দরিদ্রতার হার ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ হলো নদী ভাঙ্গন এবং চর বসবাস কারী মানুষের অনিশ্চিত জীবনযাপন। এ পরিপ্রক্ষিতে এসডিজির (টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে) বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে, বঞ্চিত চর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাবী উঠেছে তৃণমূল থেকে। সম্প্রতি কুড়িগাম অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সংলাপ থেকে জোড়ালো দাবী জানানো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রৌমারী উপজলা চর বিষয়ক আহবায়ক কমিটির আলাচনা সভায় বক্তারা বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভাগ্য লাঘব করার জন্য কুড়িগ্রাম চর মন্ত্রণালয়ের দাবী জানানো হয়। যা চর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চরের মানুষের সকল উন্নয়ন বাস্তবায়িত হবে।
কুড়িগ্রাম জেলার জনসংখ্যা ২৩ লাখের কিছু বেশি। জেলাটির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমার সহ ১৬টি নদ-নদী। এগুলার অববাহিকায় রয়েছে সাড়ে চার শতাধিক চর। প্রায় সাড়ে ৮০০ বর্গ কিলো মিটার চরে বসবাস করেন সাড়ে ৫ লাখ মানুষ। এসব চরে বসবাসকারী মানুষের প্রধান আয়ের উৎস কৃষি।
চরের পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া কন্যা সন্তানদের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। বাল্য বিবাহ, অপুষ্টিসহ নানা কারণ প্রতিবন্ধী মানুষ বড়ই বেশি। বর্তমান জেলায় ৯১ হাজার ৬৭২জন প্রতিবন্ধী রয়েছে। দরিদ্র্য সূচক দেশের সর্বোচ্চ অবস্থানে এই জেলা।
কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয় ভারতের প্রায় ১৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া আরোও দুটি আসাম রাজ্যের নদী এ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পানি বহনকারী বিপুলা ব্রহ্মপুত্র নদও কুড়িগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যারফলে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা বন্যা চলাকালীন সময় ৩-৪ বার বন্যায় প্লাবিত হয়। এ বছর জেলার নদী তীরবর্তী ৪১ ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।
ইউনিসফর তথ্য অনুযায়ী দেশে ১৮ বছরের কমবয়সী ময়েদের বিয়র হার ৬৬ শতাংশ। কুড়িগ্রাম এ চিত্র আরও ভয়াবহ। অর্থাৎ প্রায় ৭৮ শতাংশ। কুড়িগ্রাম জেলায় মাট প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৯১ হাজার ৬৭২ জন, অসচেতনতার কারণে বাল্যবিবাহ গর্ভবর্তী মায়ের পুষ্টির অভাব, প্রসবকালীন জটিলতা, প্রসবকালীন সময় প্রত্যান্ত চরাঞ্চল হতে যথাসময়ে ডাক্তারের শরণাপণ্য না হতে পারার কারণে অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যম অনিরাপদ ডেলিভারি, দারিদ্রতা ও সামাজিক কুসংস্কার প্রতিবন্ধিতার অন্যতম কারণ হিসাবে হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কুড়িগ্রাম জেলার ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্য চরাঞ্চল ১৬৯টি বিদ্যালয় রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাই বললেই চলে।