
মোঃ রুবেল মিয়া,উপজেলা প্রতিনিধি মির্জাপুর।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চলছে ত্রিমুখী লড়াই,আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের। সেই লক্ষ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।চা দোকান হাটে বাজারে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। দিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। এই আসনে তিন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদের মধ্যে।বিশিষ্ট শিল্পপতি, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য,বাংলাদেশ জিয়ার শিশুর কিশোর পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি,ফিরোজ হায়দার খান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে খুব জোরালো ভাবে নির্বাচন প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার দলের পূর্ণ সমর্থন না থাকলেও নির্বাচনী মাঠ গরম করে রেখেছেন তিনি। তিনি বিএনপি থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে তার গোড়াই ইউনিয়ন সবচেয়ে বড়। তিনি তার নেতা কর্মীদের নিয়ে জনসভা করছেন দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি এবং জয়ের জন্য তিনি শতভাগ আশাবাদী।
চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে টানা চার বারের সংসদ সদস্য প্রয়াত এমপি একাব্বর হোসেনের পুত্র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত (আনারস) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তার বাবার অসমাপ্ত কাজ ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মানুষের ধারে ধারে যাচ্ছেন ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমার বাবার সাথে যাঁরা কাঁধে কাঁদ মিলিয়ে চলছেন, তার পাশে থেকেছেন ঠিক তেমনি ভাবে ৫ তারিখ ভোটের মাধ্যমে আমাকে জয়যুক্ত করবেন সেই প্রত্যাশা করি।
এ দিকে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম মনির (কাপ পিরিচ) প্রতীক নিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। মির্জাপুরের বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ একান্ত সহচর তিনি। শিল্পপতি রেজাউল করিম বাবুলের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় তিনি ব্যাকআপ প্রার্থী হয়ে মূল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বনি্দ্বতা করছেন। মনির তার দলের পূর্ণসমর্থন নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
তিনি বলেন, আমি জনতার কামলা হয়ে থাকতে চাই, আমি চেয়ারম্যান নই আপনাদের ভাই হিসাবে থাকতে চাই এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট চান জনগনের কাছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনটি অঘোষিত দুইটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা। সীমান্ত প্যানেলে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম (তালা) প্রতীক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
আরেকটি এস এম মনির প্যানেলে আওয়ামী লীগ নেতা মো. শওকত মিয়া (টিউবয়েল) প্রতীক এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চিত্র নায়ক ডি এ তায়েবের স্ত্রী মাহবুবা শাহরীন (কলস) প্রতীক নিয়ে মাঠে লড়ছেন। এদিকে টাঙ্গাইল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চাঁদ সুলতানা (হাঁস) প্রতীক নিয়ে তিনি একাই লড়ে যাচ্ছেন।
তারা প্রত্যেকই জয়ের জন্য মরিয়া হইয়া কাজ করে যাচ্ছেন ও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, যে এই উপজেলাটি ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮ শত ৫১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ১শত ১৩ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭শত ৩২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন ভোটার রয়েছেন।এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটারিং কর্মকর্তা শেখ নূরুল আলম। আগামী ৫ ই জুন ভোটের লড়াইয়ে কে বিজয়ী হবেন,কে হাঁসবেন বিজয়ের হাসি সেটা দেখার অপেক্ষায় মির্জাপুরবাসী।