
স্বপন কুমার নাথ। ষ্টাফ রিপোর্টার।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও ঋন গ্রহীতা সদস্যদের মালিকানাধীন বিশেষায়িত ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের রাঙ্গামাটি যোনের খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা এরিয়ার যৌথ আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এবার ও বার্ষিক ক্রীড়া ও বনভোজন খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ব্যাংকের দুই এরিয়ার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্য বৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। দুই এরিয়ার প্রায় দুই শতাধিক অংশ গ্রহন কারীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে সকাল থেকে সারাদিন ব্যাপী ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, বাজনার তালে তালে বালিশ নিক্ষেপ, কবিতা, গান, গজল, কোরান তেলাওয়াত, আলোচনা ও নাছে গানে ভরপুর ছিলো। তা ছাড়া কোন প্রকার শৃঙ্খলায় আবদ্ধ না থেকে যার যেমন ইচ্ছে মাফিক পর্যটন এলাকায় ঘুরাঘুরি ও পাহাড়ের আনাছে কানাছে গল্প গুজব ও পাহাড়ের আকর্ষণীয় সুড়ঙ্গে প্রবেশ – বাহিরে ছিলো অবাধ স্বাধীনতা। এমন উন্মুক্ত পরিবেশে সবাই যেন আনন্দে মেতে উঠেছে। দুপুরে নিজস্ব আয়োজনে রান্না করা মজাদার খাবার ও বিকেলে হৈ হুল্লোড় যুক্ত কুপন ড্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি যোনের যোনাল ম্যানেজার জনাব উত্তম কুমার শীল, সাবেক যোনাল ম্যানেজার জনাব,আব্দুল আউয়াল, যোনাল অডিট অফিসার জনাব মিজানুর রহমান মোল্লা, এরিয়া ম্যানেজার জনাব অখিল চন্দ্র দাশ, জনাব মাজহারুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার জনাব অশোক চন্দ্র দাশ, যোনাল অফিস হিসাব কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ আলী, অবলোকন কর্মকর্তা জনাব মোঃ আব্দুল হক হোসাইনি সহ প্রমূখ অতিথি বৃন্দ। দীর্ঘ এক বছর পর দুই এরিয়ার সকল সহকর্মী একত্রিত হয়ে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি যেন পুরো অনুষ্টানে ঈদের আনন্দ নেমে এসেছে।গ্রামীণ ব্যাংক রাঙ্গামাটি যোনের যোনাল ম্যানেজার জনাব উত্তম কুমার শীল বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে প্রতি এরিয়া ও যোন ওয়ারী সহকর্মীদের রিক্রিয়েশনের জন্য একটি বরাদ্দ দিয়ে থাকে এবং সহকর্মীদের পছন্দসই স্পটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এতে করে দীর্ঘদিনের পরিচিত সহকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় ও সরাসরি দেখা করার মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়।