
শিশির হাওলাদার, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
গলাচিপা উপজেলার উপকূলীয় চরগুলোতে পর্যাপ্ত চারণভূমি ও গো-খাদ্যের সংকটে মহিষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিকরা। মহিষ পালনে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নানা প্রকার সংকট, এতে করে মাথায় হাত খামারিদের।
দুধ উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মহিষ। খাদ্য সংকটে মহিষ ও মহিষের বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। গত এক মাসে বিভিন্ন চরে অনন্ত ২১টি মহিষ মারা গেছে বলে প্রাণি সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মালিকরা মহিষ পালনে অনাগ্রহী প্রকাশ করেন।
মহিষ মালিক ইলিয়াছ মৃধা, সোহাগ রহমান সহ আরো কয়েকজন বলেন, কিছুদিন ধরে চরগুলোতে মহিষ চরানো হলেও গো-খাদ্য সংকট । তাই দুধ উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নানান রোগ ও সমস্যা। মাঝে মধ্যে মারা যাচ্ছে মহিষের বাচ্চা। মহিষ মালিকরা আরো জানান, সরকারের নীতিমালা মেনে গোলখালীর মাঝের চর বাগানে রবিশষ্য ওঠার আগ পর্যন্ত মহিষ দিয়ে গো-খাদ্য খাওয়াতে চাই। এদিকে কোনো চরে ঘাষ নেই, মাঠে মহিষ চরালেও কোনো খাবার পাচ্ছে না মহিষগুলো। খাবার না পেয়ে মহিষগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে, এতে দুধ কমে যাচ্ছে। মহিষের বাচ্চাগুলো দুধ না পেয়ে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না।
গলাচিপা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সজল দাস বলেন, উপজেলার বিভিন্ন চরে গত কয়েক মাসে বেশ কিছু মহিষ মারা গেছে। তবে এসব মহিষ কোন অসুখে মারা যায়নি, মারা গিয়েছে খাদ্য সংকটের কারণে। এদিকে বাণিজ্যিক ভাবে ঘাষের চাষ না করায় এবং জমির স্বল্পতা থাকায় চরগুলোতে প্রাকৃতিক ভাবে নতুন করে কোনো গো-খাদ্য তৈরি হচ্ছেনা।