বাড়িবরিশাল বিভাগপটুয়াখালী জেলাগলাচিপায় ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

গলাচিপায় ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

শিশির হাওলাদার,গলাচিপা (পটুয়াখালী)
গলাচিপায় ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। গলাচিপা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে বেলা ২টায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া এলাকার রঞ্জিত ভৌমিক।
 তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলে রাহুল ভৌমিক এর সাথে এক’ই এলাকার স্কুল মাস্টার গোবিন্দ কুন্ড এর মেয়ে বিথীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু  বিষয়টি আমার প্রতিবেশী গোবিন্দ কুন্ড ও তার পরিবার সহজে মেনে না নিয়ে মেয়েকে জোর করে প্রায় দুই বছর পূর্বে অন্যেত্রে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিষয়টি উভয় পরিবারের মাঝে স্বাভাবিক ভাবে নিলেও, দুই বছর পর আমার ছেলের সাথে পুনোরায় সম্পর্ক গড়ে তোলার চাপ সৃষ্টি করে গোবিন্দ কুন্ড এর মেয়ে বিথি রানী কুন্ড। 
মেয়ের এ অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি পূর্বে থেকেই আমাদের এবং গোবিন্দ কুন্ডের পরিবারকে অবহিত করলেও মেয়ের বিষয়ে তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে রাহুল তার প্রেমিকা বিথি রানীর বিয়ের পরেই নিজেকে সামলিয়ে ঢাকা যায়। ঢাকার গাজিপুর জেলার কালিগঞ্জ এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরী করতো।
সেখানেও গিয়েও মেয়ে বিথি রানী পুনোরায় সম্পর্ক গড়তে আমার ছেলেকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করতো। যা মৃত্যুর বেশ কয় দিন পূর্বে’ই আমাদের জানিয়েছিলো। তাই আমাদের ধারনা বিথি রানীর অবৈধ প্রস্তাব মেনে না নেয়ায় সু-কৌশলে আমার ছেলে রাহুল ভৌমিক’কে গোবিন্দ কুন্ড ও তার মেয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঘড়ের জানালার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে ধামা চাপা দেয়ে। 
ঐ সময়ে আমি হত্যা মামলা করতে গিয়েও তৎকালিক আওয়ামীলীগের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের চাপে বাধাঁগ্রস্ত হয়েছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান অন্তরবর্তী কালীন  সরকারের কাছে আমার ছেলে রাহুল ভৌমিক এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। 
এবিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল মাস্টার গোবিন্দ কুন্ড এর সাথে মুঠোফোনে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রতিবেশী রঞ্জিত ভৌমিক আমার এবং আমার মেয়ের সামাজিক ভাবে হেনাস্তা করতে অবান্তর কল্পকাহিনী রচনা করছেন। বরং রাহুল এর বাবা’ রঞ্জিত ভৌমিক’ই ছেলের অন্যায় আবদার রাখতে ছেলের আত্মহত্যার পথে এগিয়ে দিয়ে সহায়তা করেছে। কোথায় কি হয়েছে সমস্ত প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছে এমন কি প্রমান যে তারা একথা বলেন। 
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ১৯’শে সেপ্টেম্বর রাহুল ভৌমিক কালিগঞ্জ তার কর্মস্থাল এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর ডায়েরী করা হয়। যার ডায়েরি নং ৯১৫/২৩।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments