প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৪, ২০২৫, ৯:৪৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৫, ২০২৫, ৩:৩০ পি.এম
গলাচিপায় নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যু, অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

শিশির হাওলাদার,গলাচিপা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর গলাচিপায় নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে সদ্য ভুমিষ্ঠ হওয়া নবজাতককে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটে গত ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রসূতি, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ নাইমা কবির নবজাতককে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মৃত শিশুটির বাবা হাসান হাওলাদার।
রোগী সালমা বেগমের (২৮) শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গলাচিপা দশ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে না পাঠিয়ে কমিশনের জন্য মা ও শিশু হাসপাতালের নার্স লিপি মুঠোফোনে রেফার করে ভর্তি করান নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে।
৭০ বছর বয়সী সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ নাইমা কবিরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীদের। এছাড়া আরও জানাযায়, ভুল চিকিৎসার কারণে মহিপুর থানা থেকে আওয়ামী লীগ শাসন আমলে ধাওয়া খেয়ে গলাচিপা উপজেলায় শিকড় গেড়ে বসেছেন ডাঃ নাঈমা কবীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানান, সিনিয়র কনসালটেন্ট পরিচয় দেওয়া ডাঃ নাইমা কবিরের ডিগ্রি নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকের এনেস্থিসিয়া ডাঃ সুমন নাম কাগজে কলমে থাকলেও সেখানে আছে ধোঁয়াশা।
উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিক। ডাঃ নাঈমা কবির জানান বাচ্চা জন্ম নেয়ার পরে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এছাড়াও বাচ্চার মায়ের অবস্থা বেশি ভালো ছিলোনা সে এক সপ্তাহ আগে বাসায় দূর্ঘরনার শিকার হওয়ার তার ব্লাড জমা হয়ে গিয়েছে।
এমতো অবস্থা আগে মাকে বাচানো একজন ডাক্তারের কাম্য। এবিষয়ে গলাচিপা থানায় ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করতে গিয়েও অভিযোগ না করে ফিরে আসেন, এতে করে রহস্যের মোরনেয় অন্যদিকে দাবী এলাকাবাসীর।
এনিয়ে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশাদুর রহমান বলেন ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করতে এসে বাচ্চার পোস্টমর্টেম করার কথা শুনেই অভিযোগ না করেই চলে যায়। তবে তারা যদি কোন লিখিত অভিযোগ করেন তা হলে আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সুধী সমাজ। অন্যথায় আরও প্রাণ হারাতে হবে, বুক খালি হবে কোন এক মায়ের। এমনটিই জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কপিরাইট@২০২৩ দৈনিক প্রথম বাংলা। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত