
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় সদর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর বাজার সংলগ্ন মাটিভাঙ্গা এলাকায় ছালেহা বেগম নামেট এক নারীর বসতঘরে হামলা, লুটপাট ও সাংবাদিক ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছালেহা বেগম (৬৫) নামে ওই নারী গলাচিপা থানায় আরেক ছেলের জহিরুলের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন থানায়।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগে ছালেহা বেগমের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৬) ও জামাই তারেক প্যাদাসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ছেলে জহিরুল ইসলাম দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে বসতঘরে ঢুকে দরজা ভেঙে ফেলে। এরপর বৃদ্ধা ছালেহা বেগমের ছেলে সাংবাদিক কাওছার হাওলাদার (৪৫) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে বাঁচাতে ভাই আনসার হাওলাদার (৪২) ও জাকির হোসেন (৩৮) এগিয়ে এলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়।
এ সময় আরেক ছেলে আনসারের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, একটি পেট্রোলের দোকান, জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় জহিরুল। ঘরে লুটপাট চালিয়ে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ছালেহা বেগম।
ছালেহা বেগম জানান, ছেলে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর আগেও তিনি ভয়ভীতি ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দিতেন এবং টাকা দাবি করতেন। এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন তিনি ও তার পরিবার।
আনসার হাওলাদার বলেন, “প্রায় ৩০ মিনিট ধরে আমার ভাইকে মারধর করেছে তারা। কেউ ঠেকাতে এলে তাকেও আঘাত করেছে। এমনকি আমার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির হুমকি দিয়েছে এবং দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে জহিরুল। আমরা এর বিচার চাই।”
ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আরও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশাদুর রহমান বলেন, ” আমরা এজাহার পেয়েছি, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।