
বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে জন্য বরাদ্ধ হয়েছে কিন্তু স্কুলের জমিতে দোতলা বাড়ি ও দোকান তৈরি করে অবৈধভাবে দখল করে রাখেন স্থানীয় প্রভাবশালী। দুই বছর চেষ্টার পর অবশেষে ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেই জমিতে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ হতে দেখে খুশি শিক্ষক, অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৮৯৫ সালে এক তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের ১২৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত রুম ছিল মাত্র ৪টি। এর মধ্যে একটি শিক্ষকদের অফিস রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। যে কারণে শ্রেণিকক্ষ সংকটের জন্য ব্যাহত হচ্ছিল পাঠদান।
জানা গেছে, এছাড়াও ইউএনও মো. আসসাদিকজামান কালীগঞ্জে যোগ দিয়ে স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে বেশ কিছু কাজ করেছেন। যে কারণে তিনি চলতি বছর স্থানীয় শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য গাজীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন ।
খলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা দে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে এখন আর কোন সমস্যা হবে না। আমাদের ইউএনও স্যারের হস্তক্ষেপে স্কুলের জায়গা অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার জানান, খলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ২০১৯ সালে ভবন হওয়ার জন্য প্রয় ৬৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু স্কুলের জমিতে প্রভাবশালীরা দোতলা বাড়ি ও দোকান ঘর করে দখল করে রাখেন। পরে উপজেলা নির্বাহী আফিসারের হস্তক্ষেপে তা উচ্ছেদ করা হলো। ২ বছর পর বরাদ্ধকৃত টাকা দিয়ে স্কুলের ভবন নির্মাণ করছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুন্নাহার জানান, বরাদ্ধকৃত স্কুলের ভবন না হওয়ায় স্কুলটির পাঠদানে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। পরে ইউএনও স্যারের হস্তক্ষেপে জমি উদ্ধার করে সেখানে বর্তমানে স্কুলের ভবন নির্মাণ হচ্ছে।